অমর একুশের পরের দিনগুলোয় বইমেলায় বিক্রি সাধারণত বেশ ভালো থাকে। এবার ঠিক তেমন হয়নি। শনিবার ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। গতকাল সোমবার প্রকাশকেরা বললেন, বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে বরাবরের মতো নয়। আর মেলার পরিবেশ নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন বললেন, এবার মেলায় দুই দিন বৃষ্টির বিড়ম্বনা ছিল। এর চেয়ে বড় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও স্টল নিয়ে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান এবার সারা মেলায় এমন করে তাদের স্পনসরদের বিজ্ঞাপনের বোর্ড টাঙিয়েছে যে এগুলো দৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্টল করেছে। বইমেলা, না বাণিজ্য মেলা, বোঝাই যাচ্ছে না।

যাঁরা নিয়মিত বইয়ের ক্রেতা, তাঁরাও এবার মেলায় আসেননি বলে ভাষ্য কয়েকজন প্রকাশকের।

বৃষ্টির কবলে পড়ে লোকজন ভিজে গেলেন। তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য কোনো ছাউনি নেই। এত বড় মেলায় মানুষ হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। নেই বসার কোনো ব্যবস্থা। অথচ আগের মেলাগুলোয় এসব ব্যবস্থা ছিল। এবার খুবই যেনতেনভাবে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এটা প্রত্যাশা ছিল না।

লাতিনের নাটাই মহুয়া রউফ প্রথমা প্রকাশন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ