চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আমগাছের চারা রোপণকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর আমিনুল হক মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জহির হোসেন (৪৮)। তিনি একই বাড়ির মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।

নিহত জহিরের স্ত্রী জান্নাত আক্তার বলেন, ‘ঘরের সামনে আমার স্বামী আমগাছের চারা রোপণ করতে যান। আমার ভাসুর বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকালে বাড়ির পাশে আমগাছের চারা রোপণ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। এ সময় বড় ভাই বিল্লাল হোসেন তাঁর ছোট ভাই জহির হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে জহির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় জহিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জহিরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জহিরের প্রতিবেশেী আবদুল হাই বলেন, জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরে। সেই বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ