Samakal:
2025-11-03@05:41:58 GMT

শিশুর অকাল বয়ঃসন্ধি হলে করণীয়

Published: 27th, February 2025 GMT

শিশুর অকাল বয়ঃসন্ধি হলে করণীয়

বয়ঃসন্ধি একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরের লক্ষণ দেখা দেয় এবং সে প্রজননে সক্ষমতা লাভ করে। শিশু স্বাভাবিক নিয়মে বড় না হয়ে সময়ের আগে পূর্ণতা পেলে তার নাম প্রিকোসিয়াস পিউবার্টি অথবা অকাল বয়ঃসন্ধি। এটি এক ধরনের শারীরিক সমস্যা। 

বয়ঃসন্ধি শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ছেলেদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু, মেয়েদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়) সংকেত যাওয়ার মাধ্যমে। এ সংকেত এস্ট্রাডিওল গেলে হরমোন উৎপাদন শুরু হয়। এ হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণত মেয়েশিশুর ক্ষেত্রে ৯ বছর বয়সে আর ছেলেশিশুর ১১ বছর বয়সে এ পরিবর্তন দেখা দেয়। 
মেয়েশিশুর বেলায় ৮ বছরের আগে আর ছেলেশিশুর ৯ বছরের আগে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রিকোসিয়াস পিউবার্টি বেশি দেখা যায়। 

কারণ কী?

অকাল বয়ঃসন্ধির দুটি ভাগ আছে– সেন্ট্রাল আর পেরিফেরাল। সেন্ট্রাল বয়ঃসন্ধির কারণে অকাল সংকেত প্রদান, যা মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে গিয়ে হরমোন তৈরি করে।
পেরিফেরাল বয়ঃসন্ধির কারণে যৌনগ্রন্থির (অণ্ডকোষ বা ডিম্বাশয়) টিউমার, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বা অ্যাডরেনাল গ্রন্থির সমস্যা হয়।

অকাল বয়ঃসন্ধির ৭৫ শতাংশ সেন্ট্রাল আর ২৫ শতাংশই পেরিফেরাল। কারও কারও ক্ষেত্রে আংশিক বয়ঃসন্ধি দেখা যেতে পারে। লক্ষণগুলো কোন গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা মা-বাবাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি ভাব আছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে। 

অকাল বয়ঃসন্ধি কীভাবে শিশুর জন্য সমস্যা হতে পারে?

আপনার সন্তানের আচার-আচরণে সমস্যা দেখা যেতে পারে। সে অল্পতেই রেগে যেতে পারে। পড়ালেখায় মন নাও বসতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুর যৌন আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে, যা তাদের যৌন নির্যাতনের হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।

এ ধরনের শিশুর প্রথম দিকে উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী সময়ে হরমোনের কারণে তাদের হাড়ের বৃদ্ধি কমে যায়, উচ্চতায় খাটো হয়। তাদের ডায়াবেটিস, স্থূলতা, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। 

কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সম্প্রতি এ সমস্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, প্লাস্টিক প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ করা এবং কীটনাশকযুক্ত খাবার গ্রহণ করা প্রিকোসিয়াস পিউবার্টির জন্য দায়ী হতে পারে। তাই শিশুর খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখুন। বয়ঃসন্ধির সময় তার পাশে থেকে বন্ধুর মতো আচরণ করুন।

লেখক : কনসালট্যান্ট (অবস এবং গাইনি), মনোয়ারা হাসপাতাল (প্রা.

) লিমিটেড ঢাকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হরম ন সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি ও হেনস্তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার তিন দিন পর হেনস্তাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার নাজিম উদ্দিন (৪৫) ওই বাসের কন্ডাক্টর ও চালকের সহকারী বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসে এক তরুণী তাঁর পোশাক নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করছেন। বাসে ওঠার পর সামনের আসনে বসা ওই ব্যক্তি তাঁর পোশাক নিয়ে অশোভন মন্তব্য করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণী প্রতিবাদ জানাতে সামনে এগিয়ে যান এবং প্রশ্ন করেন, ‘আমার পোশাক নিয়ে আপনার সমস্যা কী?’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ওই ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে তরুণীকে চড় মারেন। মুহূর্তেই তরুণী জুতা খুলে পাল্টা আঘাত করেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুজনই বাসের সামনের দিকে পড়ে যান। তরুণী নিজেকে সামলে নিয়ে আবারও প্রতিরোধ করেন।

ঘটনার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই তরুণীর সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঘটনাটিতে উভয় পক্ষের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

নাজিম উদ্দিনকে আটক করার সঙ্গে যুক্ত র‍্যাব-৪–এর মেজর আবরার ফয়সাল সাদী প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীকে কটূক্তি ও হেনস্তা করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর হেনস্তকারী ব্যক্তিকে আটক করতে র‍্যাব-৪–এর একটি দল অভিযান শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দিনকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। পরে তাঁকে মোহাম্মদপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক প্রথম আলোকে বলেন, হেনস্তার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে আজ শুক্রবার সকালে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাজিম উদ্দিন ধানমন্ডি ১৫ থকে মোহাম্মদপুরের বছিলায় চলাচলরত রমজান পরিবহনের কন্ডাক্টর। ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জের ধরে তাঁদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। ছাত্রীটি মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।

আজ সন্ধ্যায় পাঠানো র‍্যাব-৪–এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রমজান পরিবহনের একটি বাস ধানমন্ডি ১৫ থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলায় যাচ্ছিল। বাসটি বছিলার মেট্রো হাউজিংয়ের সামনে পৌঁছালে চালকের সহকারী মো. নিজাম উদ্দিন বাসটির যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর দিকে তাকিয়ে তাঁর পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এতে ওই তরুণী প্রতিবাদ করায় নাজিম উদ্দিন তাঁর সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তাঁকে চড় মারেন। একপর্যায়ে তরুণীও আত্মরক্ষার্থে নিজের পায়ের জুতা খুলে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিনকে আঘাত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
  • কেউ কটুক্তি করলে কী করবেন?
  • বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ‌্যে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান পছন্দ হয়নি স‌্যামির
  • মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার