সিলেটি নাগরি লিপিতে উইকিপিডিয়া চালু
Published: 27th, February 2025 GMT
সিলেটের সিলেটি নাগরী লিপিতে উইকিপিডিয়ার নতুন এক সংস্করণ যাত্রা শুরু করেছে। সিলেটি ভাষা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ, ভারতের আসামের বরাক ভ্যালি ও ত্রিপুরার উত্তর অংশে বেশি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মেঘালয়, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে অনেক মানুষ সিলেটি ভাষা ব্যবহার করেন।
সিলেটি নাগরি লিপির বিকাশ ১৫ শতকে শুরু হয়। ১৯৭০–এর দশকে বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসেও ব্যবহার করা হয়েছে ভাষাটি। আর ২০০০–এর দশকে ইউনিকোডে সিলেটি নাগরি লিপি লেখা শুরু হয়। এরপর আলাদা উইকিপিডিয়া হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জুলাই ইনকিউবেটরে এই ভাষা চালু হয়। এরপর যাচাই–বাছাই শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটি নাগরি লিপিতে চালু করা হয়েছে উইকিপিডিয়া।
কম্পিউটারে সিলেটি নাগরি লিপি ভাষায় উইকিপিডিয়া দেখতে সিলেটি ফন্ট ইনস্টল করতে হবে বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে বাংলা উইকিপিডিয়া। এখন পর্যন্ত সিলেটি নাগরি লিপিতে এক হাজারেরও বেশি নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে বাংলা ও সাঁওতালি ভাষায় আলাদা উইকিপিডিয়া চালু রয়েছে। সিলেটি নাগরি লিপির উইকিপিডিয়া এই ঠিকানা থেকে ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর উইক প ড য়
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত