সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে হঠাৎ ছিটকে পড়ে একটি উড়োজাহাজ। এরপর সেটিতে আগুন লেগে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি। যাত্রীদের উদ্ধারে সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয় একাধিক মেডিকেল দলও। আগুন নেভানোর পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা।

অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবন্দরে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ জন্য কৃত্রিমভাবে একটি দুর্ঘটনার দৃশ্যপট তৈরি করে উড়োজাহাজের মডেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চলে মহড়া। মূলত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধি অনুসারে প্রতি দুই বছর পরপর সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করতে হয়।

মহড়ায় দেখা যায়, উড়োজাহাজের ভেতরে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৫ জন ‘মারা’ যান। তাঁদের বিমানবন্দরের ভেতরের মর্গে নেওয়া হয়। এ ছাড়া আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। ‘গুরুতর আহত’ একজনকে হেলিকপ্টারে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারসহ সরকারি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ মহড়ায় অংশ নেন। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্টসহ সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট নানা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরাও অংশ নেয় বিভিন্ন পর্বে।

মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে ছিলেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর বলেন, যেকোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সফলভাবে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রাখার জন্যই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অগ্নিনির্বাপণ ও যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করেন।

বিমানভাড়া সহনীয় পর্যায়ে আনতে আলোচনা চলছে

অনুষ্ঠান শেষে মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় তিনি জানান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মিতব্য নতুন টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ হবে। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁরা আলোচনা করছেন বলে জানান। তাঁর দাবি, মূলত সেলিং এজেন্টদের কারণে বিমানভাড়া বেড়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, সিলেট থেকে আরও কিছু রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কিছুদিনের মধ্যে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইটও চালু হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওসম ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা