জাহিদ-তমাদের নিয়ে অবিচারের সত্য ঘটনা তুলে আনলেন রাফী
Published: 2nd, March 2025 GMT
নির্মাতা রায়হান রাফী যতগুলো কন্টেন্ট বানিয়েছেন তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে সবগুলোর মধ্যে ছিলে সত্য ঘটনার ছায়া। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। একই ধারায় তিনি নিয়ে আসছেন নতুন ওয়ের ফিল্ম ‘আমলনামা’। মুক্তির আগে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ফোরটেস্ট ও থিমেটিক পোস্টার।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ পায় ’আমলনামা’র ফোরটেস্ট বা পূর্বাভাস ভিডিও। যার ক্যাপশনে লেখা, ‘অবিচার যখন হয়ে উঠেছিল বিচারের মাপকাঠি…।’ এই শহর, শহরের কিছু মানুষ এবং তাদের অভিব্যক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির ‘ফোরটেস্ট’।
ভিডিওর প্রথমদিকের কিছু দৃশ্য আর সংলাপে ধারণা করা যায়, কয়েকজন মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলে একজনকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর নানারকম অভিব্যক্তিতে ধরা দেন সিনেমাটির অভিনয়শিল্পীরা। সেখানে গল্প বা চরিত্রের কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ পায় সিনেমাটির থিমেটিক পোস্টার। ভাঙা ফ্রেমের ভেতর স্পষ্টই বোঝা গেছে দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবা–মা’র ছবিটি। তবে বাবার মুখটি ছবিতে নেই। বুলেটের আঘাতে বাবার মুখের জায়গাটি ছিদ্র হয়ে গেছে, ভেঙে গেছে উপরের কাঁচ।
আর প্রতীকীভাবে সেই ভাঙা অংশ দিয়ে বেয়ে পড়ছে রক্ত। ভাঙা কাচের ওপর প্রতিফলিত হয়েছে জাহিদ হাসানের ছবি। তিনি ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছেন। থিমেটিক পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা, ’যেই অবিচার আমরা চোখ বুজে সহ্য করে এসেছি!’
এমন সব বাক্য, ছবি আর ভিডিও স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্নের তৈরি করেছে দর্শকদের মনে। কোন সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণা নিয়েছেন নির্মাতা, তা এখনই বলতে চান না রায়হান রাফী। শুধু জানালেন, দর্শকরাই সেটা আবিষ্কার করুক।
রাফী বলেন, ‘আমি বরাবরই নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এবারের নতুনত্বটা গল্পে; এরকম গল্পে কাজ হয়নি বললেই চলে। কাহিনী শেষ না হওয়া পর্যন্ত দর্শকরা একটা থ্রিলের মধ্যে থাকবেন।’
গল্পের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পী নির্বাচনেও চমক রেখেছেন রায়হান রাফী। ‘আমলনামা’ সিনেমার মাধ্যমে অনেকদিনপর ওটিটিতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানকে। শুধু তাই নয়, কবি, গীতিকার, নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু আছেন এই সিনেমায়।
গাজী রাকায়েতকে এখানে পাওয়া যাবে নতুন অবতারে। অভিনেত্রী তমা মির্জা ও সারিকা সাবরিন আলো ছড়াবেন সিনেমায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন
অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
৩. সারভাইক্যাল রিবস
৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া
৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে
৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি
৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা
৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ
৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়
১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ
১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া
১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস
১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস
১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া
১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা
১৬. হাড়ের ইনফেকশন
১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)
১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।
উপসর্গ
ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।
কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।
বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।
সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।
ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।
হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।
ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।
চিকিৎসা
চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।
২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।
৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।
৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।
৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।
১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।
১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫