সংগীতশিল্পী মিকার অভিযোগ, বিপাশার রহস্যময় পোস্ট
Published: 3rd, March 2025 GMT
বলিউডের তারকা দম্পতি বিপাশা বসু ও করন সিং গ্রোভার। ২০২০ সালে ‘ডেঞ্জারাস’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন। এটি প্রযোজনা করেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিকা সিং। এর মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর মিকা সিং দাবি করেছেন, বিপাশা-করনের খামখেয়ালিপনার জন্য ১০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছে তার। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন তিনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে এখনো চর্চা চলছে বলিপাড়ায়।
“যা রটে, তার কিছু হলেও ঘটে”— সুতরাং বিপাশা-করনকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা উভয়ই চলছে। এ নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি এই দম্পতির কেউই। তবে বিপাশা ইঙ্গিতপূর্ণ একটি পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরো পড়ুন:
সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন মারা গেছেন
ছাবা ঝড়: ১৬ দিনে আয় ৮২৫ কোটি টাকা
বিপাশা বসু তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক পোস্টে লেখেন, “বিষাক্ত লোকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আঙুল তুলে, দোষ চাপায় এবং দায় এড়িয়ে চলে।”
এরপর আরেকটি পোস্টে বিপাশা বসু লেখেন, “বিষাক্ত-নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ থেকে দূরে থাকুন। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুক।” বিপাশা বসু কারো নাম উল্লেখ না করলেও সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে নিয়েছেন নেটিজেনরা।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিকা সিং বলেন, “আমি ৫০ জনের একটি দলকে এক মাসের জন্য লন্ডনে নিয়েছিলাম। কিন্তু করণ ও বিপাশা অনেক কাহিনির জন্ম দেন। ফলে সময় দুই মাসে গড়ায়। বাজেট ৪ থেকে ১৪ কোটি রুপি বৃদ্ধি পায়।”
স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরও হোটেলে আলাদা আলাদা রুম দাবি করেন বিপাশা-করন। ওয়েব সিরিজে এ দম্পতির চুম্বন দৃশ্য ছিল, কিন্তু শুটিংয়ের সময়ে বেঁকে বসেন। এসব নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে দাবি মিকা সিংয়ের।
অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে মিকা সিং বলেন, “আপনি কি ভাবতে পারেন, তারা এখন কেন কাজে নেই! ঈশ্বর সবকিছুই দেখেন।”
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা
রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।
এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।
এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।
সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।
রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫