বলিউডের তারকা দম্পতি বিপাশা বসু ও করন সিং গ্রোভার। ২০২০ সালে ‘ডেঞ্জারাস’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন। এটি প্রযোজনা করেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিকা সিং। এর মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন পর মিকা সিং দাবি করেছেন, বিপাশা-করনের খামখেয়ালিপনার জন্য ১০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছে তার। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন তিনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে এখনো চর্চা চলছে বলিপাড়ায়।

“যা রটে, তার কিছু হলেও ঘটে”— সুতরাং বিপাশা-করনকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা উভয়ই চলছে। এ নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি এই দম্পতির কেউই। তবে বিপাশা ইঙ্গিতপূর্ণ একটি পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরো পড়ুন:

সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন মারা গেছেন

ছাবা ঝড়: ১৬ দিনে আয় ৮২৫ কোটি টাকা

বিপাশা বসু তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক পোস্টে লেখেন, “বিষাক্ত লোকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আঙুল তুলে, দোষ চাপায় এবং দায় এড়িয়ে চলে।”

এরপর আরেকটি পোস্টে বিপাশা বসু লেখেন, “বিষাক্ত-নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ থেকে দূরে থাকুন। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুক।” বিপাশা বসু কারো নাম উল্লেখ না করলেও সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে নিয়েছেন নেটিজেনরা।

পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিকা সিং বলেন, “আমি ৫০ জনের একটি দলকে এক মাসের জন্য লন্ডনে নিয়েছিলাম। কিন্তু করণ ও বিপাশা অনেক কাহিনির জন্ম দেন। ফলে সময় দুই মাসে গড়ায়। বাজেট ৪ থেকে ১৪ কোটি রুপি বৃদ্ধি পায়।”

স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরও হোটেলে আলাদা আলাদা রুম দাবি করেন বিপাশা-করন। ওয়েব সিরিজে এ দম্পতির চুম্বন দৃশ্য ছিল, কিন্তু শুটিংয়ের সময়ে বেঁকে বসেন। এসব নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে দাবি মিকা সিংয়ের।

অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে মিকা সিং বলেন, “আপনি কি ভাবতে পারেন, তারা এখন কেন কাজে নেই! ঈশ্বর সবকিছুই দেখেন।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ