জর্জো ভাসারি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ও মাইকেলঅ্যাঞ্জেলোর সমসাময়িক চিত্রকর। ভিঞ্চি ও অ্যাঞ্জেলোর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ‘অপছন্দে’র ব্যাপার ছিল সেটা তিনিই বলে গেছেন। এক বেনামি পাণ্ডুলিপি থেকে জানা যায়, রাস্তাঘাটেও তর্কে জড়িয়েছেন দুজন। ভিঞ্চির বিশ্বাস ছিল, সৌন্দর্য বিজ্ঞান হতে উৎসারিত। অ্যাঞ্জেলো মনে করতেন, সৃষ্টিকর্তাই সব সৌন্দর্যের উৎস।

রদ্রিগো ও হুলিয়ান আলভারেজ ভিঞ্চিও নন, অ্যাঞ্জেলোও নন। ফুটবল খেলার সৌন্দর্য তাঁদের পায়ে আছে বটে, তবে চারুকলায় ভিঞ্চি ও অ্যাঞ্জেলো যে মাপের, ফুটবলের সৌন্দর্যে তাঁরা এখনো সেখানে আসতে পারেননি। কিন্তু মানুষ চাইলে কী না হয়! চেষ্টা এবং খুব করে চাইলে বোধ হয় কখনো কখনো কোনো কোনো রাতে নিজের মধ্যে ভিঞ্চি কিংবা অ্যাঞ্জেলোও নামিয়ে ফেলা যায়!

আরও পড়ুন৭ গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন রেকর্ড আর্সেনালের৬ ঘণ্টা আগে

রদ্রিগো ও আলভারেজ বোধ হয় তা টের পাননি—সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাঁদের পা-টা ঠিক যে মুহূর্তে তুলি হয়ে উঠেছিল, তখন কারও কারও চোখে দৃশ্য দুটো ফুটেছে এভাবে, ওটা যেন ভিঞ্চির তুলির টান, অন্যটি অ্যাঞ্জেলোর! কিংবা অন্য ভাবনাও আসতে পারে। রদ্রিগো ও আলভারেজের গোল দুটি দেখে মনে হতে পারে, এ তো রবিনের জোড়া তির! রবিনকে চিনলেন না, সেই যে শেরউড জঙ্গলের রবিনহুড। দুটি গোলই একদম তিরের ফলার মতো লক্ষ্যভেদ করেছে।

গোলের পর রদ্রিগোর উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দর য আলভ র জ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ