সাংবাদিককে প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যার হুমকি
Published: 7th, March 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে অনিয়ম ও চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মোজাহিদকে প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যার হুমকির দেওয়া হয়েছে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে শ্রীপুর থানা মোড় এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেন।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, এম এম ফারুক, শাহান শাহাবুদ্দিন, ফয়সাল খান, আব্দুল লতিফ মাস্টার, শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফজলে মমিন, রাতুল মণ্ডল, মোতাহার খান (জিটিভি), মাহমুদুল হাসান, মাহফুজুর রহমান ইকবাল, আশরাফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান মানিক, এস এম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় শ্রীপুর পৌর শহরে কলেজ ছাত্রদলনেতা গোলজার মণ্ডল, মেহেদী হাসান সাহাদ, মারুফ প্রধান ও তোফায়েলসহ ৪০-৫০ জনের একটি দল বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিলে তারা সাংবাদিক মোজাহিদকে টার্গেট করে উস্কানিমূলক ও ভয়ঙ্কর স্লোগান দেয়। যার মধ্যে ছিল, ‘একটা একটা মোজাহিদ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।’ এই মিছিলের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক মহলসহ সচেতন নাগরিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
একই দিন বাদ জুমা শ্রীপুর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে সাধারণ ছাত্রজনতা। তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ঢাকা/রফিক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।