সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী হকার্স মার্কেটে ছাত্রদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো চাঁদা আদায়
Published: 7th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী হকার্স মার্কেট থেকে একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে। এমন সংবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ছাত্ররা সেখানে অবস্থান নেয় এবং চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে চাঁদাবাজদের আটক করে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা চাঁদাবাজদের উত্তম মধ্যম দেয়। পরে ছাত্ররা এ মার্কেটকে চাঁদাবাজ মুক্ত মার্কেট ঘোষনা দিয়ে চাঁদা আদায়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মেহরাব হোসেন প্রভাত, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ ইমন আহমেদ, বৈছাআ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সিনিয়র মুখ্য সংগঠক তাকবির আমান, হাসিবুল আলম রিদুল, মোঃ তামিম, মিনহাজ, নাসির, উৎসব, সুজন, রাব্বি, ছাত্রদল এর সাকিব সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্যান্য সংগঠকবৃন্দ ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন , বিগত সময় ধরে কিছু অসাধু লোকজন আদমজী হকার মার্কেট থেকে জোরপূর্বক ৫০-১০০ টাকা চাঁদা আদায় করছিল, চাদাঁ না দিলে চড় থাপ্পড় মেরে পন্য নিয়ে যায়।
তাই আজ আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংগঠকরা এ খবর পেয়ে এখানে আসি এবং চাদাঁবাজী বন্ধ করে সকল ব্যবসায়ীদের রুখে দাড়িয়ে ঐক্যের বাঁধ গড়তে বলি । সন্ত্রাসবাদ ও চাদাঁবাজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সকলেই সবর্দা প্রস্তুত আছি ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ ইমন আহমেদ বলেন, আমি চাই প্রতিবাদ আমার থেকেই শুরু হোক এবং তা ছড়িয়ে পড়ুক।অন্যায়কে দেখে তার প্রতিবাদ না করাও আরেকটি অন্যায়। আজ থেকে চাদাবাজী বন্ধ থাকবে এই ফুটে এবং অদূর ভবিষ্যতেও যেন না হয় সেজন্য সদা প্রস্তুত থাকবে আমাদের সহযোদ্ধারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।