বইমেলায় ঘোরাঘুরি ও প্রিয় লেখকের সঙ্গে দেখা...
Published: 7th, March 2025 GMT
এ ক ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলা গিয়েছিলাম মুন্সীগঞ্জ থেকে। তার আগেও গিয়েছিলাম। সেটি ছিলো আমার প্রথম বইমেলা। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে। তখন আমি নার্সারিতে পড়ি। সেবার বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে এক বইয়ের দোকানে প্রথম দেখা হয় চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী-এর সাথে। তাঁকে আমি দেখেছি টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতায়। সেবারই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। যাই হোক। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গেলাম অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য। অটোগ্রাফ চাইতেই, হাসিমুখে তাঁর আঁকা কার্টুন ও অটোগ্রাফ দেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁর ছবি আঁকার শুরু দিকের গল্পটা শুনে আমি ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনও ছবি আঁকার চেষ্টা করি। তারপর আবার বইমেলায় ঘুরে বেড়ালাম। হঠাৎ আরেকটি বইয়ের দোকানে দেখা হলো আরেক এক লেখকের সঙ্গে। ও, বলাই তো হয়নি। আমি মেলায় গিয়েছিলাম সেবার বাবা, মা ও মামার সাথে। তো মামা একটা বই কিনে দিলেন। বইয়ের নাম খরগোশটা গিটার বাজায়। লেখকের নাম লুৎফর রহমান রিটন। মনে আছে, সেই লেখকও আমাকে বইতে তাঁর অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি বই পড়ে যেন ভালো মানুষ ও সেরা মানুষ হই। এ তো গেলো আগের কথা। এবারের মেলায় পরিচিত অনেকের সঙ্গে দেখা হয় আমাদের। বড়দের সাথে ছোটরাও মেলায় গিয়ে তাদের প্রিয় লেখকদের বই আনন্দ করে কিনতে দেখেছি। বইমেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
বয়স : ১+২+৪ বছর; প্রথম শ্রেণি, টংগিবাড়ী সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন, মুন্সীগঞ্জ
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল বইম ল য় ঘ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না
জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।
আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।
লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে আগাতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।