এ ক ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলা গিয়েছিলাম মুন্সীগঞ্জ থেকে। তার আগেও গিয়েছিলাম। সেটি ছিলো আমার প্রথম বইমেলা। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে। তখন আমি নার্সারিতে পড়ি। সেবার বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে এক বইয়ের দোকানে প্রথম দেখা হয় চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী-এর সাথে। তাঁকে আমি দেখেছি টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতায়। সেবারই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। যাই হোক। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গেলাম অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য। অটোগ্রাফ চাইতেই, হাসিমুখে তাঁর আঁকা কার্টুন ও অটোগ্রাফ দেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁর ছবি আঁকার শুরু দিকের গল্পটা শুনে আমি ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখনও ছবি আঁকার চেষ্টা করি। তারপর আবার বইমেলায় ঘুরে বেড়ালাম। হঠাৎ আরেকটি বইয়ের দোকানে দেখা হলো আরেক এক লেখকের সঙ্গে। ও, বলাই তো হয়নি। আমি মেলায় গিয়েছিলাম সেবার বাবা, মা ও মামার সাথে। তো মামা একটা বই কিনে দিলেন। বইয়ের নাম খরগোশটা গিটার বাজায়। লেখকের নাম লুৎফর রহমান রিটন। মনে আছে, সেই লেখকও আমাকে বইতে তাঁর অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি বই পড়ে যেন ভালো মানুষ ও সেরা মানুষ হই। এ তো গেলো আগের কথা। এবারের মেলায় পরিচিত অনেকের সঙ্গে দেখা হয় আমাদের। বড়দের সাথে ছোটরাও মেলায় গিয়ে তাদের প্রিয় লেখকদের বই আনন্দ করে কিনতে দেখেছি। বইমেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। 

বয়স : ১+২+৪ বছর; প্রথম শ্রেণি, টংগিবাড়ী সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন, মুন্সীগঞ্জ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল বইম ল য় ঘ র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত