মাগুরার সেই শিশুটির জন্য আইনি সহায়তায় বিএনপির আইনজীবী প্যানেল
Published: 9th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আইনি সহায়তা দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে আজ রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এ কথা জানান।
এর আগে আট বছরের শিশুটির মায়ের সঙ্গে শনিবার মুঠোফোনে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শিশুটির চিকিৎসা ও তার সঙ্গে হওয়া অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।
আইনজীবী কায়সার কামাল আজ ব্রিফিংয়ে বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনা হচ্ছে, ভুক্তভোগী শিশুটির মা যে মামলা করেছেন, সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনগত পদক্ষেপ, আইনি সহায়তা দেওয়া—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মাগুরায় বিএনপির পক্ষ থেকে একটি আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আইনজীবী শাহেদ হাসান, মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান খান, কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস, এম এ রশিদ ও মিজানুর রহমান।
কায়সার কামাল বলেন, আসামিদের বিচারের জন্য তথা ভুক্তভোগী শিশুর মায়ের করা মামলা পরিচালনায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই আইনজীবী প্যানেল কাজ করবে। আইনগত সহায়তার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের একটা খরচ থাকে, সে খরচটা তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে বহন করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এই আইনজীবী প্যানেল কাজ করবে, যেন প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
ব্রিফিংয়ের সময় আইনজীবী কায়সার কামালের সঙ্গে আইনজীবী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।