আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের জয় উদযাপনের সময় ট্রফি বিতরণী মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কোনো প্রতিনিধি না থাকায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতের জয় শেষে পদক ও ট্রফি বিতরণে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। অথচ আয়োজক দেশ পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না ট্রফি বিতরণী মঞ্চে, যা দেখে হতাশ হয়েছেন শোয়েব।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমি খুব অবাক হয়েছি দেখে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ ছিল না। আমরা যদি আয়োজক হই, তাহলে অন্তত ট্রফি বিতরণে একজন প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল। এটা বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে এমন হলো।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হিসেবে পাকিস্তান প্রথম থেকেই আয়োজন নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভারত দেশটিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে আইসিসি হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করে এবং ভারতের সব ম্যাচ ফাইনালসহ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

শোয়েব বলেন, ‘বিশ্বমঞ্চে আমাদের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত ছিল। দুঃখ লাগে, এত বড় আসরে আয়োজক হয়েও কেউ ছিল না। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’

পরে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাকে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে ডাকা হয়নি। সেই সূত্র জানায়, আগে থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ভিন্ন প্রতিশ্রুতি থাকায় পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দুবাইয়ে যাননি। পিসিবির পক্ষ থেকে সিইওকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণে বা ভুল–বোঝাবুঝিতে তাকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ