ফরিদপুরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের দাবি
Published: 11th, March 2025 GMT
সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও ধর্ষণের শিকার এক শিশুর মা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও বলেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে অপরাধীরা আরও সাহসী হয়ে উঠবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সমাজকর্মী জেবা তাহাসিন, শিক্ষার্থী তানিয়া আহমেদ, মো.
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ‘ধর্ষকের ঠাঁই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা চাই’, ‘দ্রুত বিচার, কঠোর শাস্তি’—এমন বিভিন্ন স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী তানিয়া আহমেদ বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু একজন নারী নয়, পুরো সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এজন্য আমাদের কঠোর আইন ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এই আন্দোলন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫