ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরে
Published: 12th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভেতরে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে যেতে পারে বলে ভারতীয় মিডিয়ায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে সম্প্রতি দ্য ইকোনমিক টাইমস এবং দ্য ইন্ডিয়া টুডেসহ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভাঙতে পারে বলে যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন বাংলাদেশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর স্থিতিশীলতা ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে একটি ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার অংশ বলে মনে হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং তার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমান্ড শৃঙ্খল শক্তিশালী এবং সিনিয়র জেনারেলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য সংবিধান, কমান্ড শৃঙ্খল এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতি অটল। পদমর্যাদার মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ।
এতে আরো বলা হয়, এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক যে দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। এই সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র এক মাস আগে, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে একই সংবাদমাধ্যম একই ধরণের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই ধরণের আচরণ এই সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করার এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা/হাসান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল খাতে বাজেটের প্রভাব কেমন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, বাজেট গতানুগতিক। দেশের ইন্টারনেট খাতের জন্য বিশেষ কিছু নেই। মাঝারি ও ছোট আইএসপিদের জন্য বাজেটে তেমন কোনো সুখবর নেই। আগে যা ছিল, এখনও তা-ই আছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী যারা আছেন, তারা শতভাগ দেশি উদ্যোক্তা। তবে করপোরেট গ্রাহকের জন্য ইন্টারনেট সেবা দেয়, তারা
কিছুটা সুবিচার পেতে পারেন।
কারণ, সব ধরনের করপোরেট প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) কেটে রেখে বিল পরিশোধ করে। এআইটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় স্বল্প সংখ্যক আইএসপি কিছুটা সুবিচার পেতে পারে। সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে চায়। কিন্তু ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত দেবে না; ইকুইপমেন্টের মধ্যেও হাত দেবে না। ফলে কোনো লাভ হবে না। ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত না দিলে ইন্টারনেটের দাম কমবে না।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, আমি মনে করি, ভোক্তা পর্যায়ে স্মার্টফোন খাতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। উৎপাদন পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতার লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে সেটিও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। ধারণা করছি, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্ম (ওটিটি) পরিষেবায় আরোপ করা হয়েছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। এতে চরকি, নেটফ্লিক, বঙ্গ ছাড়াও কয়েকটি ওটিটিতে সিনেমা ও সিরিজ ছাড়াও ভালো মানের কনটেন্ট দেখতে দর্শকের ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, ওটিটি পরিষেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দূরদৃষ্টিহীন সিদ্ধান্ত। দেশের উদীয়মান ডিজিটাল অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী শিল্পের বিকাশ ব্যাহত করবে। সিদ্ধান্তটি একদিকে যেমন দর্শকের ব্যয় বাড়াবে, অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের বাধা হবে। সরকারের উচিত, দ্রুত সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা।