অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ১২টার দিকে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে। 

ফেতর আসারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভুইগড় উত্তর পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত শ্রীদাম বিশ্বাসের ছেলে শ্রী শ্যামল (৬৬) ও একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের হরিদয়াল সরকারের ছেলে শ্রী রতন সরকার (৫৮)।

আরো পড়ুন:

৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: পতাকা বৈঠকে বিজিরির প্রতিবাদ

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, হস্তান্তরের সময় বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ফেরত দেওয়ার জন্য বিজিবিকে আহ্বান জানায় বিএসএফ। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে বিএসএফের কাছ থেকে তাদের গ্রহণ করে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাংগা বিওপির সুন্দরপুর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। রাতেই দুইজনকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা