শটে আলভারেজের ডাবল টাচ প্রথম কে দেখেছিলেন
Published: 13th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকো দ্বিতীয় শটটি মিস করে। দলটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ শট নিয়ে জালে বল পাঠান। কিন্তু রেফারি ভিএআর-এর সহায়তা নিয়ে নিশ্চিত করেন যে, বলে আলভারেজ দু’বার স্পর্শ করেছেন।
ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, পেনাল্টি শটে ডাবল টাচ হলে তা বাতিল হবে। যে কারণে আলভারেজের গোলটি বাতিল করা হয়। আলভারেজ ওই শটটি নিতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। তবে গোল করে তিনি উদযাপন শুরু করেন। তার সতীর্থরাও উদযাপনে মাতেন। কিন্তু পরেই শটটি ঠিকঠাক আছে কিনা দেখার সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
ওই সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হয় রিয়াল মাদ্রিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে। জানা গেছে, রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রান্স তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রথম মনে হয়েছিল, আলভারেজ বলে ডাবল টাচ দিয়েছেন। যে কারণে তিনি চিৎকার করে রেফারিকে সেটি জানান। পরে অন্যরাও তার ডাকে সাড়া দিলে আলভারেজের শট বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় রেফারিকে।
সেখানে দেখা যায়, ডানপায়ে আলভারেজ শট নিলেও ভারসাম্য হারানোর কারণে বলে বাঁ-পায়ের সামান্য স্পর্শ লাগে। যে কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় তার শট থেকে আসা গোলটি। ম্যাচ শেষে অবশ্য অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পক্ষ থেকে বিষয়টির সমালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে অ্যাতলেটিকো কোচ ডিয়াগো সিমিওনে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একে একে নির্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা কেউ দেখেছেন ডাবল টাচ হয়েছে, আপনি দেখেছেন, আপনি দেখেছেন, আপনি.
অ্যাতলেটিকো কোচ রেফারির দিকে পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত করেন এবং তাদের ইচ্ছাকৃত হারানো হয়েছে এমন অভিযোগ আনেন। পূর্বেও রিয়াল মাদ্রিদ রেফারির সুবিধা পায় এই অভিযোগ একাধিকবার করেছেন সিমিওনে। ম্যাচ শেষে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়া জানান, প্রতি ম্যাচ শেষে এভাবে কোচকে অভিযুক্ত করা তত্বে তিনি বিরক্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ড বল ট চ আলভ র জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন
ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
আরো পড়ুন:
কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব