হুলিয়ান আলভারেজ এক শটেই ফুটবল–বিশ্ব নাড়িয়ে দিয়েছেন।

সেই বিশ্বে যাঁরা নড়েচড়ে বসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগের প্রশ্ন বলটি কি নড়েছে? তবে এই প্রশ্নের মোড়কে ভেতরের আসল প্রশ্ন হলো, আলভারেজের পেনাল্টি শট বাতিল হলো কেন?

সবার আগে এই প্রশ্নের পটভূমিটা বলতে হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো ফিরতি লেগে গতকাল রাতে মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রথম লেগ রিয়াল ২-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ ব্যবধানে সমতায় ছিল দুই দল। অতিরিক্ত সময়েও জয়-পরাজয় নির্ধারণ না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুচাপের এ পরীক্ষায় ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল।

আরও পড়ুন‘যাঁরা বলটি নড়তে দেখেছেন, দয়া করে হাত তুলুন’২ ঘণ্টা আগে

টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হয়ে দ্বিতীয় শটে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলভারেজ। কিন্তু ভিএআরের হস্তক্ষেপে রেফারি জানান শটটি নিতে নিয়ম লঙ্ঘন করায় আলভারেজের গোল বাতিল করা হয়েছে। শটটি নেওয়ার সময় আলভারেজের বাঁ পা একটু পিছলে গিয়েছিল। ডান পায়ে শট নেওয়ার আগে আলভারেজের বাঁ পা লেগেছে বলে, যেটা নিয়মের পরিপন্থী। টাইব্রেকার শট নেওয়ার সময় বল একবারই টাচ করা যাবে।

টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে আতলেতিকো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলভ র জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ