জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা ইসির অধীনে রাখার দাবি
Published: 13th, March 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী।
মানববন্ধনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, “ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রাখতে হবে। প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণ করতে হবে। এনআইডি সেবা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।”
নির্বাচন কর্মকর্তারা দাবি করেন, “বিগত সরকার এনআইডি সেবাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিল, সে চক্রান্ত আবারও শুরু হয়েছে। বিগত সময়ে বিভিন্ন দপ্তর থেকে নাগরিকদের তথ্য চুরির মত ঘটনা ঘটেছে কিন্তু নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের সতর্কতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।”
কর্মসূচিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ জেলা ও থানা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তারেক জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহবায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ ড. মোহাম্মদ ইউনূস'কে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ দেশের মানুষ আপনাকে পছন্দ করে ভালবাসে। আমরা নিশ্চিত এ দেশের মানুষের মনের আশা গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আপনি এ দেশের জনগণকে উপহার দেবেন।
অচিরেই সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ আপনি ঠিক করুন। আপনি সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কার হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া মাধ্যমেই সংস্কার চলতে থাকবে। তাই আপনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমাদের তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন করেছেন।
তিনি যে ৩১ দফার একটি রূপরেখা দিয়েছেন তার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে। আমিনুল ইসলাম সোহাগ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রেরও স্বাধীনতা ছিল না।
ঐ সময় আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভোটও দিতে পারি নাই। পুলিশ, বিডিআর, র্যাব, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতো তারা ব্যবহার করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে খুন, গুম, ধর্ষণসহ মৌলিক অধিকার ও মানুষের মানবিক অধিকার হরণ করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এদেশ থেকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। ব্যাংক সেক্টরকে নিয়ে এসেছিলো শূন্যের কোঠায়।
তারেক জিয়া পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি শিশির খান, সিনিয়র সভাপতি তাইজুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাজী রাশেদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, আড়াই হাজার থানার সভাপতি মনির হোসেন, সেক্রেটারি পনির আহমেদ, বন্দর থানার সভাপতি নুর ইসলাম ও সেক্রেটারি রুবেল মিয়া সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।