‘আইসিটির কার্যক্রম সময়সীমাবদ্ধ ও ফলাফলভিত্তিক হতে হবে’
Published: 13th, March 2025 GMT
আইসিটির কার্যক্রম সময়সীমাবদ্ধ ও ফলাফলভিত্তিক হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময়ের সভার শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ সহকারী আরো বলেন, “আপনাদের ম্যানেজারের পাশাপাশি লিডার হিসেবে দেখতে চাই। আপনারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করবেন না।”
‘আইসিটি সম্পর্কে দেশের মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা আছে। মানুষের সেই ধারণাকে পরিবর্তন করে আইসিটিকে মানুষের স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়নে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে দায়িত্ব আপনাদের। এজন্য আপনাদের একই সাথে ম্যানেজেরিয়াল রোল এবং লিডারশিপ রোল প্লে করতে হবে,’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আইসিটির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ডিজিটাল ইকোনমি সমৃদ্ধের মাধ্যমে তারুণ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আপনাদের কাজ। তাই সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”
বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রকল্পের কোয়ালিটি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর মকর ত আইস ট র ক আপন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠানো হয়েছে। সেই খসড়ায় বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা যেটা পেয়েছি, এটা জুলাই জাতীয় সনদ নামে একটা খসড়া পেয়েছি। সেটা ভূমিকা, বিস্তারিত বিষয়গুলো নেই। এই খসড়ার সঙ্গে আমরা মোটামুটি একমত। কিন্তু খসড়ার কিছু বাক্য, শব্দ ও গঠনপ্রণালি নিয়ে কারও কোনো মতামত আছে কি না, তা জানতে রাজনৈতিক দলগুলোকে খসড়াটি দিয়েছে কমিশন। আমাদের যে সংশোধনী থাকবে, আমরা তা কাল জমা দেব।’
খসড়ায় যে অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিএনপি একমত বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, ‘খসড়ায় দুই বছরের ভেতরে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা একমত।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ আইনের মাধ্যমে করতে চাই। এতে আইনি ত্রুটি থাকলে সংশোধন সহজ হবে।’ তিনি বলেন, ‘কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সক্রিয় নির্বাহী বিভাগ প্রয়োজন। তবে সেই নির্বাহী বিভাগকে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মধ্যে রাখতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধানে যত বেশি যুক্ত করা হবে, সংশোধন তত বেশি জটিল হয়ে পড়বে। তাই আমরা চাই, আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হোক এবং সেই আইনে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন আনা সহজ হবে।’
নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম ধাপে প্রস্তাব করেছি, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫টি আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্বাচনে তা ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০টি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হোক। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে চাই।’
সংস্কার কমিশনের ৭০০–এর বেশি সুপারিশ সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এর মধ্যে প্রায় ৬৫০টির মতো প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে পরামর্শ বা সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব সনদে আসবে না। তবে যেগুলো মৌলিক, যেমন সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত, সেগুলো অবশ্যই গুরুত্ব পাবে।’