এবার তামিম সেঞ্চুরি পাননি, জিতেছে মোহামেডান, আবাহনী ও গাজী
Published: 15th, March 2025 GMT
মোহামেডানের টানা চতুর্থ জয়
দলবদলের পরই ফেবারিটের তকমা জুটেছিল মোহামেডানের। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তারা হেরে যায় নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কাছে। এরপর অবশ্য নিজেদের ফিরে পেয়ে টানা চার ম্যাচ জিতেছে মোহামেডান। সর্বশেষ আজ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ম্যাচ খেলতে নামা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৯৪ রানে হারিয়েছে তারা। মিরপুরে মোহামেডান করেছিল ৯ উইকেটে ২৫৩ রান। রান তাড়ায় লিজেন্ডস অলআউট ১৫৯ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় মোহামেডান। আগের দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল আজ ফিরেছেন ২৫ বলে ২৮ রান করে। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার করেন ৩৯ বলে ৩৬ রান। তিন ও চারে নামা মাহিদুল ইসলাম ও তাওহিদ হৃদয়ও রান পেয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।
৬৭ বলে ৪২ রান করে মাহিদুল আউট হলেও হৃদয় (৭৬ বলে ৬৬ রান) ফিরেছেন ফিফটি করে শরীফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে। পরের দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মোহামেডানের রান কোনোরকমে ২৫০ পেরোয়। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট লিজেন্ডসের পেসার শরীফুল।
রান তাড়ায় নেমে ৫৭ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস। এরপর দলটির হয়ে কিছুক্ষণ লড়েন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান। তারাও অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। তাদের ৫৮ রানের জুটি ভেঙে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর বলে আরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান জাকের আলী।
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মোহামেডানের মেহেদী হাসান মিরাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।