চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের একজন আয়া অক্সিজেন সিলিন্ডারে পানি সরবরাহ না করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অক্সিজেনের কারণে শিশুটি মারা গেছে, তা সঠিক নয়।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ৯ মার্চ নবজাতকটিকে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে নিউমোনিয়াসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিল। শিশুটিকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।

নবজাতকটির বাবার নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালির জারুলবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বকশিশ না দেওয়ায় এক আয়া শিশুটির অক্সিজেন সিলিন্ডারের মুখে পানি সরবরাহ করেননি। এ কারণে তাঁর সন্তান মারা গেছে। ওই আয়া তাঁর কাছে ২০০ টাকা বকশিশ চেয়েছিলেন।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নবজাতকের মৃত্যুর পর বিষয়টি মৌখিকভাবে হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবজাতক বিভাগের প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, এক লিটারের কম অক্সিজেনের জন্য পানি সরবরাহ করার প্রয়োজন পড়ে না।

এটা কোনো সমস্যা নয়। শিশুটি জন্মগতভাবে অনেক রোগে ভুগছিল। তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। অক্সিজেনের কারণে সে মারা গেছে, তা সঠিক নয়। তবে পানি দেওয়ার জন্য বকশিশ চাওয়াটা কোনোভাবে কাম্য নয়। এ জন্য পরিচালকের নির্দেশে ওই আয়াকে হাসপাতালে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান