সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে আবারও ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার খুঁটি স্থাপনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবি বাধা দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে লোহার খুঁটি ও কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেন বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএএমপি ৮ নম্বরের ৪৩ নম্বর সাবপিলারের দহগ্রাম মাস্টারপাড়া সীমান্ত ও ভারতের খিতিরবাড়ী সীমান্তের ভারতীয় পশিচমবঙ্গের বিএসএফের ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় ১০০ গজ এলাকায় ফের এ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে থাকে। শূন্যরেখার মাত্র ৩ থেকে ৪ গজ স্থান ছেড়ে লোহার খুঁটিতে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের ৪ জন বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে।
এ সময় বিএসএফের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য বিজিবির সদস্যদের সাথে তর্কে জড়ায়। বিএসএফ ও নির্মাণ শ্রমিকেরা জোড় করে বেঁড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবির সদস্যরা লোহার অ্যাঙ্গেলের খুঁটি ও কাঁটাতার উপড়ে দেয়। এতে কিছু সময় উত্তেজনা দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ করে এবং অ্যাঙ্গেলের খুঁটি ও কাঁটাতার নিয়ে চলে যায়। বিজিবি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানান।

দহগ্রাম মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, আমাদের এলাকা সীমান্তে বিএসএফ জোর করে কাঁটাতারের বেড়া দিতে থাকে। এ সময় বিজিবি এসে বাধা প্রদান করলেও কয়েকটা খুঁটি বসায়। বিজিবি বাধায় পরবর্তীতে লোহার খুঁটি ও বেড়া সরিয়ে নেয় বিএসএফ। 
 
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মো. সেলিম আলদীন বলেন, সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সিনিয়র ঊর্ধ্বতন বিএসএফের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে লিখিত সিদ্ধান্ত হয়েছে দেড়শো গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে না তারা (বিএসএফ)। কিন্তু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি না মেনে আবারও নির্মাণের চেষ্টা করায় বিজিবি বাঁধা দিয়েছে। বাঁধা না মেনে নির্মাণের চেষ্টা করায় বিজিবি তুলে দিয়েছে। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদ পত্র দেওয়া হবে। এ ঘটনায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ র দহগ র ম পর য য় সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা