Risingbd:
2025-07-31@23:19:42 GMT

মধুমিতার বিয়ে

Published: 18th, March 2025 GMT

মধুমিতার বিয়ে

গত বছরের শেষের দিকে নতুন প্রেমের খবর জানান ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। তারপর থেকে রাখঢাকের তোয়াক্কা নেই। বরং প্রেমিক দেবমাল্য চক্রবর্তীর হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়-জঙ্গল। মধুমিতা জানালেন, এবার সাতপাকে বাঁধা পড়তে চান তারা।

কয়েক দিন আগে দোল উৎসব সিকিমের নিরিবিলি ইয়ামথাং ভ্যালিতে কাটিয়েছেন মধুমিতা-দেবমাল্য। তুষার আবৃত রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলা ছবি এই অভিনেত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি বিয়ের ঘোষণা দেন।

মধুমিতা সরকার বলেন, “এই বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ শীতকাল আমাদের দুজনেরই বেশ পছন্দ। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্মৃতি তৈরি করে যাব।”

আরো পড়ুন:

‘রং খেলার নামে কেউ শরীর স্পর্শ করবে তা হতে পারে না’

গল্প ভালো হলে ভিলেনও সিনেমা দাঁড় করাতে পারে: জিৎ

দেবমাল্যর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খবর জানানোর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেন মধুমিতা। সেই সময়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০১৯ সালে আমাদের প্রথম দেখা। কিন্তু কোনোভাবে আমরা সংস্পর্শে ছিলাম না। তবে মাসখানেক আগে আবার আমাদের দেখা হয়। তারপর থেকেই ফের টেক্সট চালাচালি শুরু। বন্ধু হিসেবেই প্রথমে কথা বলা শুরু করেছিলাম। তারপর বাকিটা ইতিহাস।”

ভারতীয় টেলিভিশন স্টার জলসায় প্রচারিত ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ধারাবাহিকে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন মধুমিতা সরকার। বাংলাদেশেও তার ভক্ত সংখ্যা কম নয়!

অষ্টাদশী হওয়ার পরই মধুমিতা ভালোবেসে ঘর বাঁধেন অভিনেতা সৌরভের সঙ্গে। কিন্তু এ সংসার বেশি দিন টিকেনি। ২০১৯ সালে সৌরভের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা

অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।

সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • আইপিএলে কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন কারস্টেন