রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের একদিন পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়েছে। ট্রাম্প ও জেলেনস্কি ফোনালাপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে যুদ্ধ বন্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দুই নেতার এ ফোনালাপকে ‘দুর্দান্ত’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। এরপর এই প্রথম দুই নেতা আবার কথা বললেন। ফোনালাপে জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে তার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সৌদি আরবে শান্তিচুক্তির আলোচনা নিয়ে কারিগরি দলের কাজের ব্যাপারে দুই নেতা একমত হয়েছেন।

আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপকে রাশিয়ায় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৪৬ মিনিট আগে

হোয়াইট হাউস জানায়, জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের কাছে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাওয়া হয়। ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউরোপে প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবারে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে জেলেনস্কিকে জানানো হয়। ওই ফোনালাপে পুতিনের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। ওই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল ইউক্রেন। তবে পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ না করলেও জ্বালানি অবকাঠামো হামলা বন্ধের বিষয়ে রাজি হন।

অবশ্য গতকাল বুধবার আবার জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ওই যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য সুযোগ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় দুই দেশ ১৭৫ জন করে বন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে। মস্কো জানিয়েছে, তারা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে আরও ২২ জন আহত ইউক্রেনীয়কে মুক্তি দিয়েছে।

জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপকে ইতিবাচক ও খোলামেলা বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে রুশ অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য কিয়েভের প্রস্তুতি ও যুদ্ধবিরতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ