হোয়াটস অ্যাপে জাবি উপাচার্যের ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর বার্তা
Published: 20th, March 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটস অ্যাপ আইডি খুলে টাকা দাবিসহ আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্কও করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাবির বাসে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ
শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকায় জাবিতে পথশিশুদের ঈদ উপহার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
জনৈক ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে উপাচার্যের সুনাম-ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা থেকে এ ঘৃণ্য কাজটি করছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য মতে, পঞ্চগড়ে অবস্থানকারী কেউ একজন এই নিন্দনীয় কাজটি করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অপরাধীকে শনাক্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্লিখিত নম্বর থেকে ফোনকলে কিংবা মেসেজে আগত তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আমার ছবি ব্যবহার করে একটি নাম্বার থেকে নানা ধরনের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের তথ্য মতে, পঞ্চগড় থেকে কেউ একজন এ ঘৃণিত কাজটি করছে। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।
মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।
উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি