ভোরে ঘুম ভাঙলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। একবার চোখ মেলে আবার বন্ধ করে ফেলি। শুয়ে শুয়ে পাখির কলকাকলি শুনতে ভালোই লাগে আমার।
তারপর উঠে দিই ছুট। এক ছুটে স্কুলে। স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাড়ি আসি। তারপর খেয়ে দেয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি! অবশ্য ঘুমানোর আগে ভাবি, এত্তো সুন্দর গান শিখলো কই ঝিঁঝিঁ পোকার দল?
বিকালে ঘুম ভাঙলে দিই ছুট খেলার মাঠে। ছুটতে ছুটতে দেখি, পথের পাশে কত্তো কত্তো রঙিন ফুল ফুটে আছে। ফুলের ওপর উড়ছে প্রজাপতি, ঘাসফড়িং ও ভ্রমর। ঘাসফড়িং গান গায় না, প্রজাপতিও না; ভ্রমর গায়। গুনগুন করে গায়। গান না গাইলেও ঘাসফড়িং ও প্রজাপতি আমার ভালো লাগে খুব। ভালো লাগে ভ্রমরও। আমার প্রজাপতি হতে ইচ্ছে করে, ভ্রমর হতে ইচ্ছে করে, ঘাসফড়িং হতে ইচ্ছে করে, বিকালে খেলা শেষে ঘরে ফেরার সময় উড়ে উড়ে নীড়ে ফেরা পাখিদের দেখে ডানা মেলে দিতে ইচ্ছে করে।
আমি পাখি হয়ে যাই মনে মনে, ফড়িং হয়ে যাই মনে মনে, ভ্রমর হয়ে যাই, হয়ে যাই প্রজাপতি.
n অষ্টম শ্রেণি, চৌমুহনী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।