আসছে ঈদে বৈশাখী টেলিভিশনের আয়োজনে থাকছে ২৭টি নাটক। এর মধ্যে ১৫টি একক, সাত পর্বের পাঁচটি ধারাবাহিক এবং সাতটি মেগা নাটক। একক নাটকগুলো প্রচার হবে প্রতিদিন রাত ৮টা ১৫ এবং ৯টা ৫৫ মিনিটে। এর বাইরে চাঁদরাতে ১০টায় প্রচার হবে নাজিমউদ্দিন পাপ্পুর রচনা ও পরিচালনায় একক নাটক ‘গহিনে বিজয়’। এতে অভিনয় করেছেন বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার।
বাকি ১৪টি একক নাটকের মধ্যে মোশারফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি অভিনীত ‘টোনাটুনির সংসার’, খায়রুল বাসার-সাফা কবিরের ‘প্রেম অথবা মায়া’, তৌসিফ-কেয়া পায়েলের ‘কামিনা আমিনা’, খায়রুল বাসার-তানজিন তিশার ‘মন খারাপের ঘর’, মোশাররফ করিম-রোবেনা জুঁইয়ের ‘প্যারা আজমল’, রাশেদ সীমান্ত-অলংকার চৌধুরী-সঞ্চিতা দত্তর ‘প্রেমের ফুল ফোটে না’, নিলয়-হিমি অভিনীত ‘অকর্মা’, জোভান-কেয়া পায়েলের ‘ডাকাতিয়া প্রেম’, জোভান-তানজিন তিশার ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’, মোশাররফ করিম-প্রভার ‘সেইম সেইম’, আফজাল হোসেন-সাদিয়া ইসলাম মৌ অভিনীত ‘কোন একদিন’, রাশেদ সীমান্ত-ফারজানা আহসান মিহির ‘আফ্রিকান পরিবার’, শ্যামল মাওলা-মাইমুনা মমর ‘অভাবের সংসার’ এবং জাহের আলভী-মায়শা প্রাপ্তি অভিনীত ‘আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই’।
ঈদের পাঁচটি সাত পর্বের ধারাবাহিক হলো আল হাজেনের পরিচালনায় রাশেদ সীমান্ত-অহনা রহমান অভিনীত ‘লন্ডনী জামাই’, ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় জাহের আলভী-ফারজানা আহসান মিহি অভিনীত ‘মানি লোকের মান’, হাসান জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় কাজী হায়াৎ, ওমর সানী, ডন, হাসান জাহাঙ্গীর অভিনীত ‘ব্ল্যাকমানি’, মাহমুদ হাসান রানার পরিচালনায় মীর সাব্বীর, শমী, আ খ ম হাসান, মিহি অভিনীত ‘শাশুড়ির বিয়ে’ এবং রুহুল আমিন শিশিরের পরিচালনায় শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারহানা মিলি, ফারজানা ছবি, আইনুন পুতুল অভিনীত ‘ট্রাক ড্রাইভার’।
ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন রাত ১১টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে সাতটি মেগা নাটক। নাটকগুলো হলো ‘কুবের মাঝি’ [শিপন মিত্র-আঁচল আখি-মানসী প্রকৃতি], ‘সাহেব বিবি গোলাম’ [ইরফান সাজ্জাদ-নাবিলা ইসলাম], ‘আমি মানুষ’ [আরফান আহমেদ-মৌটুসী বিশ্বাস], ‘হৃদয়ে তুমি’ [সজল-নাদিয়া মিম], ‘পাঁচ টন’ মাসুদ রানা মিঠু-ফারজানা আহসান মিহি], নায়িকার বিয়ে-২ [চিত্রনায়িকা পপি-হাসান জাহাঙ্গীর] এবং ‘ভাগ্যবিবি’ [শশী, আ খ ম হাসান, বীথি রানী সরকার]। এ ছাড়া চ্যানেলটিতে রয়েছে সাতটি সিনেমা, জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান এবং বিশেষ কমেডি শো ‘ফানি মোমেন্ট’সহ নানা আয়োজন।
ঈদ আয়োজন নিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, বিনোদনপ্রিয় মানুষকে কিছুটা বিনোদন দেয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। কতটুকু সফল হতে পারব, সে বিচারের ভার বৈশাখী টেলিভিশনের দর্শকদের, যাদের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমাদের এগিয়ে চলা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?