কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই: আমীর খসরু
Published: 22nd, March 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে, কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। যারা দ্বিতীয় বিকল্প খুঁজছে, তারা গণতন্ত্র চায় না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তাদের হাতেই গণতন্ত্রের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ সামনে আনতে হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরের একটি ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একভাবে নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এখন আরেকটা পক্ষ অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, বাধা দিতে চায়। এই প্রক্রিয়া চলতে দেওয়া যায় না। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। তখন জবাবদিহি থাকবে।
আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মানুষের মনে যে পরিবর্তন এসেছে, তা ধারণ করতে হবে। পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাইলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ও সংসদ গঠন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
সে ঘটনা মামলা করা হলো এখনো বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপি।
শনিবার ( ১ নভেম্বর) সকালে মদনপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন তাওলাদ মাহমুদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের গ্রেপ্তারের এই দাবি জানান।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু তার দোসরা এখনো রয়ে গেছে। মুছাপুর ইউনিয়ন তথা বন্দর উপজেলার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল।
এখনো আওয়ামী লীগের দোষরদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হবে এটা খুবই দুঃখজনক। ৫ তারিখের পরও কিন্তু তারা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু কতিপয় কিছু নেতা ও প্রশাসনের কারণে তারা এখনো আবারো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা আবারও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, তাওলাদ মাহমুদ উপর হামলার ঘটনায় মামলাআওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিচ্ছে না।
ফলে প্রতিনিয়ত তারা হামলা মামলা নির্যাতন সহকারে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছ । মুছাপুরের জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে বিএনপি নেতা তাওলাত মাহমুদের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় বেঁধে দিলাম আমরা উপজেলা বিএনপি।
যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মাধ্যমে তাওলাদ মাহমুদের উপর হামলাকারী মূল হোতাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। তার জন্য কিন্তু সকল দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।