গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগেই জানা যায়, আইসিসির নির্ধারিত সূচির বাইরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজটি বাংলাদেশের মাটিতে জুলাইয়ে আয়োজনের চেষ্টা চলছে বলেও জানা গিয়েছিল। বিসিবি থেকে তখন জানানো হয়েছিল, সূচি নির্ধারণের বিষয়ে দুই বোর্ড কাজ করছে।

এর মধ্যেই জানা গেল, জুলাইয়ের ওই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি বদলে টি-২০ ফরম্যাটে আনা হচ্ছে। অর্থাৎ ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে।

শুধু তাই নয়, আগামী মে মাসে আইসিসি নির্ধারিত সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে। ওই সিরিজে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ খেলার কথা ছিল দুই দলের। তবে সাদা বলের ওই সিরিজিটি পুরোপুরি টি-২০ ফরম্যাটে বদলে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ মে মাসে পাকিস্তানে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

আগামী সেপ্টেম্বরে টি-২০ ফরম্যাটে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপ হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে  ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। ওই দুই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে দুই বোর্ড ওয়ানডের পরিবর্তনে টি-২০ সিরিজ খেলা কার্যকর হবে বলে মনে করছে।

বিষয়টি নিয়ে বিসিবির সূত্র জানায়, বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের কথা চিন্তা করে দুই বোর্ড টি-২০ সিরিজ খেলার পক্ষে। দুই সিরিজে আটটি টি-২০ খেলার বিষয়ে দুই বোর্ড নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ অংশে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি ২০ জুলাইয়ের দিকে শুরু হতে পারে। তবে এখনো কোন বোর্ডই সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ২০ স র জ খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ