জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করেছে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। এছাড়া জি এম কাদের,  তার স্ত্রী শরীফা কাদের, মেয়ে ইসরাত জাহান কাদের ও অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের হিসাব বিবরণীর তথ্য চেয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছে সিআইসি।

রোববার সিআইসি থেকে এ চিঠি পাঠানো হয় বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের একক বা যৌথ নামে অথবা তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যেকোনো ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যেকোনো ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে ওই হিসাবের ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋনের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। উপযুক্ত কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্যাবলী সরবরাহ করা না হলে এবং উপর্যুক্ত চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহে অস্বীকৃতি বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতিদিনের জন্য পাঁচশ টাকা হারে জরিমানা আরোপ করা হবে।

আরেকটি চিঠিতে বলা হয়, জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (লিমিটেড কোম্পানি ব্যতিত) বিভিন্ন শাখায় পরিচালিত সব হিসাবের অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনুরোধ করা হলো। স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে এ সংক্রান্ত একটি পরিপালন প্রতিবেদন (হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতি উল্লেখসহ) জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে সিআইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘তাদের (জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর) হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। এ লেনদেনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র স আইস ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
  • কাফকো সার কারখানায় গ্যাস বিক্রির চুক্তি সই
  • গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
  • পাবনায় আগাম পাটের বাজার চড়া, বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি
  • পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগ কড়া নাড়ছে দরজায়
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে জয় হচ্ছে বোয়িংয়ের
  • বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি অসম্ভব উদ্বেগের জায়গায় যাচ্ছে