আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ
Published: 23rd, March 2025 GMT
বাংলাদেশকে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব এগিয়ে নিতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সম্প্রতি আসিয়ান কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মাহবুবুর রহমান। গতকাল রোববার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্সের (আসিয়ান) সদস্য হতে গত জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে
গত বছরের নভেম্বরে এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা চান তিনি।
আসিয়ান কূটনীতিকরা গত ২০ মার্চ ঢাকায় আইসিসিবি বাংলাদেশ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ.
আসিয়ান কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে জোটের দেশগুলোতে বাংলাদেশের স্বল্প রপ্তানি। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তিনি আসিয়ান দেশগুলোকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে আসিয়ান ঢাকা কমিটির চেয়ারম্যান ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ই এনগুয়েন মাঙ্ক কুয়াং বলেন, আসিয়ান বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় রপ্তানি বাজার হিসেবে দেখে। তবে বাংলাদেশকে পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং আসিয়ান দেশগুলোতে তার পণ্য সম্পর্কে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কাইংলেট, ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন হাজি ওথমান, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ কিয়াও সোয়ে মো, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত, থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর পানোম থোংপ্রায়ুন এবং ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের অর্থনৈতিকবিষয়ক তৃতীয় সচিব এম রব্বি ফিরলি হারখা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ