ইউক্রেন ইস্যুতে সৌদি আরবে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
Published: 24th, March 2025 GMT
ইউক্রেনে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সোমবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার একদিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর এএফপির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন বছরের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দ্রুত অবসানের জন্য জোর দিচ্ছেন এবং আশা করছেন রিয়াদে আলোচনা একটি অগ্রগতির পথ তৈরি করতে পারে।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষ বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার কথা বলবেন ট্রাম্প
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা চলতি সপ্তাহে
গতকাল রবিবার সৌদি আরবের রিয়াদে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকটি গভীর রাতে শেষ হয়। কিয়েভের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ।
পরে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেন তার ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যকে বাস্তব রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, যেকোনো চুক্তি ‘পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত করবে।
স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি মনে করেন সোমবার সৌদি আরবের আলোচনায় কিছু বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাবে।
তবে গতকাল ক্রেমলিন সংকটের দ্রুত সমাধানের বিষয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, ‘আমরা এই পথের কেবল শুরুতে আছি।’
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে, তা নিয়ে অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন দিমিত্রি পেসকভ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের যৌথ ৩০ দিনের পূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক বিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেবল জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ বন্ধের প্রস্তাব করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, সামনে কঠিন আলোচনা রয়েছে।
আজ সোমবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে; হোটেল থেকে সাংবাদিকদের বের করে দিতে বলা হয়েছে।
তাস এবং আল আরাবিয়া উভয়ই জানিয়েছে, আলোচনা বন্ধ দরজার আড়ালে চলছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন ইউক র ন র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ