আর্জেন্টিনা আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ: দরিভাল
Published: 24th, March 2025 GMT
হাতে এখনও পাঁচটি ম্যাচ। তালিকার তৃতীয়তে থাকা ব্রাজিলের জন্য হয়তো বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এটাও ঠিক, ১৩ ম্যাচের চারটিতে হারার পর ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়রকে নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন সে দেশের ফুটবল সংস্থা। তাঁর অধীনে ১৫ ম্যাচ খেলে জয় মাত্র ছয়টিতে, যা কিনা ব্রাজিল ফুটবলের সঙ্গে মোটেই মানানসই না।
বিশ্বকাপের আগেই হয়তো তাঁকে পরিবর্তন করে অন্য কাউকে আনতে পারে ব্রাজিল। সেই জায়গায় ফিলিপ লুইসের নাম শোনা যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান মিডিয়াগুলোতে। তবে চাকরি বাঁচাতে একটি শেষ সুযোগ হয়তো পাবেন দরিভাল। আর সেটি অবশ্যই আর্জেন্টিনাকে হারানো।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় বুয়েন্স আয়ার্সে আলভারেজদের মুখোমুখি হবে ভিনিসিয়ুসরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্বে দারুণ কোনো অর্জনই কেবল স্বস্তি দিতে পারে ব্রাজিল সমর্থকদের। সেটা দরিভাল নিজেও জানেন। আর সে কারণেই কলম্বিয়াকে হারানোর পরই বলেছিলেন, ‘দলের এখনও কেউ স্বস্তিতে নেই। কারণ, আমাদের ফাইনাল মোমেন্ট এখনও বাকি। পরের ম্যাচ জিততে পারলে হয়তো সন্তুষ্টির কথা বলতে পারব।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কৌশল সাজানো নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত রয়েছেন দরিভাল। যার সব কিছু তিনি অবশ্যই মিডিয়ার সামনে বলবেন না। তবে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডই যে তাঁর চিন্তার কারণ, সেটুকু ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন। ‘আর্জেন্টিনা আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের মিডফিল্ড যথেষ্ট দক্ষ, তীব্র ও ব্যালান্সড। তাদের টেক্কা দিতে হলে আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলই খেলতে হবে।’
ফার্নান্দেজ, পারদেস, ম্যাক অ্যালিস্টার, জুলিয়ানো, আলমাদা, আলভারেজদের সঙ্গে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে পারেন ডি পলও। সব মিলিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়দের মিডফিল্ড প্রতিপক্ষের কাছে আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে দরিভালকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁর দলের অভিজ্ঞ লেফট ব্যাক গিয়ের্মে আরনা। ‘আমরা জানি, আর্জেন্টিনা দারুণ একসময় কাটাচ্ছে। তবে আমাদেরও মানসম্পন্ন পেশাদার খেলোয়াড় আছে। তাদের কিছু ভিডিও দেখেছি এবং তাদের খেলোয়াড়দের যে মান, তাতে আমাদের সবার খুব মনোযোগী থাকতে হবে এবং আর্জেন্টিনা আক্রমণভাগকে অকার্যকর করে রাখতে হলে আমাদের ভালো অবস্থায় থাকতে হবে। তবে আমাদের ফল প্রয়োজন। সেখানে রক্ষণে ভালো করে আমরা জয় নিশ্চিত করতে চাই।’
আরনার কথাতেই পরিষ্কার, ডিফেন্স সামলে গোল করার জন্য প্রস্তুত তাঁর দল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন দর ভ ল আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না
জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।
আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।
লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে আগাতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।