চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার দুর্গম চরে ভাসমান ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। একটি জাহাজে আধুনিক চিকিৎসা সম্বলিত সকল উপকরণ দিয়ে হাসপাতাল বানানো হয়েছে। এ হাসপাতানের নাম দেওয়া হয়েছে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মোবাইল হাসপাতাল বাংলাদেশ-৫।

সোমবার (২৪ মার্চ) হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চর অঞ্চল চেয়ারম্যান বাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চরাঞ্চলের মানুষদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে ফ্রেন্ডশিপ নামে সংস্থার মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। এ কার্যক্রম পাঁচ বছর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে চলে যাবে। গত জানুয়ারি মাস থেকে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে। আগামী ৯ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, এই চরে বেশিরভাগ রোগী টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না। এখন শহরে না গিয়ে চিকিৎসকসেবা নিতে পারছেন। দুর্গম চরে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পেয়ে তারা খুশি।

ভাসমান ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের শীপ এডমিন রেজাউল করিম জানান, হাসপাতালে ৩২ জন চিকিৎসক ও নার্সের সমন্বয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে। আধুনিক সকল চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। চাঁদপুরের হাইমচর, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ভোলার দৌলতখান ও ভোলা সদর উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এ ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি ভাসমান ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে।

চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন নূরে আলম বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে সরকার তার নিজস্ব জনবল দিয়ে নিজস্ব তদারকিতে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল পরিচালনা করার জন্যই এখানে স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি, এ হাসপাতাল থেকে মানুষ তাদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবে।’’

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, যতক্ষণ এই দুর্গম অঞ্চলের মানুষ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা না পায় বা স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে না ওঠে, ততদিন ভাসমান ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ঢাকা/জয়/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র গম

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ