চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোতে জেতার জন্য মাঠে নামলেও খেলার শুরুতেই সে স্বপ্ন ভেস্তে গেলো ব্রাজিলের। প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে খেলার ফলাফল যেন একপ্রকার নির্ধারণই করে দিল দরিভাল জুনিয়রের দল।

বুয়েন্স‌ আইরেসের মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালের ম্যাচে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েই ব্রাজিলের ওপর আঘাত হানে আর্জেন্টিনা। দুই ডিফেন্ডার গিয়ের্মে আরানা ও মুরিলোর মাঝে বল পেয়ে গোল করেন আলভারেজ। ম্যাচের ২০ মিনিট পেরোনোর আগেই সেলেসাওদের বিপক্ষে জোড়া গোলের লিড নেয় আর্জেন্টিনা।

হুলিয়ান আলভারেজ আর এনজো ফার্নান্দেজের কৃতিত্বে খেলা শুরুর আগেই মনোবল ভাঙে ব্রাজিলের ডিফেন্সে। ব্রাজিলের হয়ে কুনহা এক গোল শোধ করলেও ম্যাক অ্যালিস্টার ৩৮ মিনিটে ফের লিড দ্বিগুণ করেন। আর পুরো ৪৫ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ৩-১৷ 

এই গোলের পরেই তর্কযুদ্ধে জড়িয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররা। এজন্য দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ডও।

দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের স্কোর বাড়িয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৪র্থ‌ গোলের লিড নিয়ে আসেন গুইলিয়ানো সিমিওনে। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ ভেদ করে এগিয়ে যান তিনি। অবশ্য তার ক্ষিপ্রতার কাছে একপ্রকার পরাস্তই হতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক বেনতো ম্যাথিউসকে। আর্জেন্টিনার হয়ে সবশেষ গোলটি ব্রাজিলের জালে জড়ান সিমিওনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ