ভুমিদস্যু বাবলার প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক রবিন
Published: 28th, March 2025 GMT
ভয়ঙ্কর ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও ঝুট সন্ত্রাসী মোরছালিন বাবলা ওরফে কাইল্লা বাবলা তার অপকর্ম আড়াল করতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক গল্প বানিয়ে রবিনকে জড়িয়ে নিউজ প্রচার করছে তার যুগের চিন্তা পত্রিকা ও যুগের চিন্তা অনলাইনে। সিনিয়র সাংবাদিক রবিন ১৯৯৪ সাল থেকে সুনামের সহিত তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে।
জড়িত রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে। সামাজিকভাবে তাকে হেয় পতিপন্ন করার জন্য মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে ভূমিদস্যু ও ঝুট সন্ত্রাসী মোরছালিন বাবলা।
জানা যায়, ভূমিদস্যু ও ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা বাবলার নানা অপকর্ম ও চাঁদাবাজি নিয়ে ধারাবাহিক নিউজ প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকা ও অনলাইনে। কিন্তু নিলজ্জ বাটপার প্রতারক, ভুমিদস্যু ঝুট সন্ত্রাসী বাবলা রহস্যজনক কারণে সাংবাদিক রবিনের পিছনে লেগেছে।
উদ্ভোট ও বিভ্রান্তির তথ্য যুক্ত করে কল্পকাহিনী বানিয়ে যা ইচ্ছা তা লিখে যাচ্ছে। কিন্তু তার এই মিথ্যা নিউজের কারণে যুগের চিন্তা পত্রিকা কেউ কিনে না। ফলে রবিনের বিরুদ্ধে নিউজ ছাপিয়ে যুগের চিন্তা পত্রিকা বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি বিতরণ করছে বাবলা ও তার দোসরা। চোরের মতো পালিয়ে পালিয়ে পত্রিকা বিতরণ করে বাবলা নিজে।
আওয়ামী দোসর বাবলা গত ১৬ বছর আওয়ামীলীগ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা করে অবৈধ সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে। মালিক হয়েছে প্রচুর অর্থ বিত্তের। সেভেন মার্ডারের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনের টাকায় কিনেছে অস্ত্র।
অথচ এক সময় ২০ টাকা ভাড়ার জন্য শহরের এক নং রেল গেইটে বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারে সামনে গেট পাশ নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থাকতো বাসে উঠার জন্য। ওয়ান ইলেভেনের সময় পত্রিকা ফেলে পালিয়ে যায় বাবলা। ওই সময় র্যাবের একটি টিম একটি লাল ফাইল নিয়ে যুগের চিন্তা (মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে) অফিসে আসে বাবলাকে খোঁজার জন্য।
জানা যায়, বাবলার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ব্যাপক অভিযোগ জমা পড়ে সেনা ক্যাম্প ও র্যাবের কাছে। বিসিকের রকমতের ছোঁয়ায় ঝুট ব্যবসা করে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে সে। ৫ আগস্টের পর সেই ঝুট ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকেএমইর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এর কাছে ৪টি গার্গেন্টস থেকে ঝুট দাবি করে কাইল্লা বাবলা।
এতে মোহাম্মদ হাতেম রাজি না হওয়ায় বাটপার ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা বাবলা তার পালিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপ মাঠে নামিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক রবিনকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট কল্পকাহিনী নির্ভর নিউজ প্রচার করছে।
অথচ ২২ শে মার্চ সকালে নারায়ণগঞ্জে প্রসক্লাবের সামনে মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে মোরছালীন বাবলার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিবু মার্কেটস্থ পূর্ব লামাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। মানববন্ধনের ব্যানারে মুরছালিন বাবলাকে “ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ, পল্টিবাজ ও টোকাই” বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, একই অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে মোরছালিন বাবলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
একই অভিযোগে গত ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ১৯ মার্চ পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে মোরছালিন বাবলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভুক্তভোগী নারী নুর নাহার।
এদিকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকা থেকে গৃহবধূ লামিয়া আক্তার ফিজার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফিজা ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলী এলাকার মীর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। প্রথমে ফিজার হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে শ^শুরবাড়ির লোকজন।
কিন্তু ঘটনার চারদিনের মাথায় ৬ জানুয়ারি ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, এটা আসলে কোন আত্মহত্যা ঘটনা নয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহত ফিজার শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘবদ্ধ হয়ে করা হয়েছে। পরে ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই মামলা নেয় ফতুল্লা থানা পুলিশ। নিহত লামিয়া আক্তার ফিজার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, ১.
১৮ মার্চ সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ফিজা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ফিজার বাবা মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ফিজা হত্যার মামলার মূল আসামি আসাদুজ্জামান মুন্না, ওর মা আকলিমা, ওর বোন মুন্নি, ওর বাবা মনির হোসেন, চুন্নু, রানা এদেরকে পুলিশ ধরবে তো দূরের কথা আমার মনে পুলিশ তাদেরকে ছায়া দিচ্ছে।
নিহত ফিজার ভাই আরাফাত বলেন, আমার পর্দাশীল বোনটারে ওই আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার পরিবার নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য তাকে জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।
ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত ফিজার বাবা মীর মোহাম্মদ আলী, মা ফাইমা আক্তার, খালা সুরাইয়া আক্তার মুন্নি, ভাই আরাফাত ও ফিজার জেডা সোহরাব হোসেন সেন্টুসহ স্থানীয় আলাল মাতবর, সেলিম, মাসুম, জাহাঙ্গীর, দুলাল মাদবর, হানিফ বেপারী, জালাল ও অনিকসহ আরও অনেকে।
কিন্তু মোরছালিন বাবলা নিহত গৃহবধূ ফিজার পরিবারকে ‘ম্যানেজ’ করে ২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক রবিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায়। ব্যানার-ফেস্টুন বাবলা তার লোক দিয়ে করে দিয়েছে।
যদিও মানববন্ধনে ফিজার বাবা মোহাম্মদ আলী বলেছেন, আমি রবিনকে চিনি না, সে আমার মেয়ের হত্যা মামলার সাথে জড়িত না। কিন্তু সে নাকি ফিজা হত্যা মামলা নস্ট করে দিতে চায়। এটা আমি শুনেছি। অথচ ঝুট সন্ত্রাসী বাবলা ফিজা হত্যা মামলার সাথে রবিনকে জড়ানোর জন্য ন্যাক্কাজনকভাবে মাঠে নেমেছে। যা অত্যন্ত নিন্দীয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব বল র ব র দ ধ ন র য়ণগঞ জ মন র হ স ন ব দ ক রব ন র জন য রব ন র
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।