বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর কবে উদ্‌যাপিত হবে, তা জানা যাবে আগামীকাল রোববার। দেশের আকাশে আগামীকাল যদি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরদিন সোমবার সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। আর যদি না দেখা যায়, তাহলে তার পরদিন ঈদ উদ্‌যাপিত হবে।

সে অনুযায়ী, এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে উদ্‌যাপিত হবে ঈদুল ফিতর।

রেওয়াজ অনুযায়ী, সৌদি আরবে যেদিন ঈদ উদ্‌যাপিত হয়, তার পরদিন বাংলাদেশে ঈদ উদ্‌যাপিত হয়। সৌদি আরবে কবে ঈদ হবে, তা আজ শনিবারই বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর জানা যাবে। সেটি জানা গেলে বাংলাদেশে ঈদ কবে হতে পারে, সেটিও ধারণা করা যাবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রান্ত থেকে আগামীকাল ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাবে না। অনেকে আবার প্রত্যাশা করছেন, আগামীকাল চাঁদ দেখা যেতে পারে।

তবে অনেকে মনে করছেন, চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদি আরব আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঘোষণা দিতে পারে।

অভিযোগ রয়েছে, অতীতে অনেকবার সৌদি রাজতন্ত্র চাঁদ না দেখা সত্ত্বেও ‘ভুয়া’ চাঁদ দেখার কথা বলে ঈদ উদ্‌যাপনের ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যখন বলেছেন, চাঁদ দেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তখনই এ ধরনের কাজ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি সরকার কখনো এসব সমালোচনার জবাব দেয়নি।

আগামীকাল ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা ও ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠিত হবে এই সভা। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত থাকবেন। এই সভা থেকেই বাংলাদেশে ঈদ কবে উদ্‌যাপিত হবে, তা জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য প ত হব

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ