অস্ট্রেলিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার (৩১ মার্চ)। দেশটির জাতীয় ইমাম কাউন্সিল আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে জানানো হয়েছে- অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও পার্থ শহরে ২৯তম রজমানে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে না। সে হিসেবে ৩০ রমজান পূর্ণ হবে। ঈদ উদযাপন হবে ৩১ মার্চ। খবর-গালফ নিউজ
চাঁদ দেখার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা শেষে অস্ট্রেলিয়ার ফতোয়া কাউন্সিল জানায়, ২৯ মার্চ শনিবার সিডনি সময় রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে, পার্থের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটের দিকে শাওয়ালের চাঁদের জন্ম হবে। চাঁদের উদয় হবে সূর্যাস্তের পর। যেহেতু নতুন চাঁদ সূর্যাস্তের আগে দেখা যাবে না, তাই শাওয়াল সেদিন থেকে শুরু হতে পারে না। এই হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় রমজান মাস ৩০ দিনের হবে, শেষ হবে ৩০ মার্চ রোববার।
অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ও অস্ট্রেলিয়ার ফতোয়া কাউন্সিল যেসব বিষয়ের ওরপর নির্ভর করে রমজানের শেষ ও শাওয়ালের শুরু ঠিক করে, তার মধ্যে আছে- সূর্যাস্তের আগে চাঁদের জন্ম গণনা, সূর্যাস্তের পরে চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময়কাল ও চাঁদ দেখা যাওয়া সম্ভাবনা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ শনিবার সন্ধ্যার পর ঈদের চাঁদ দেখার অনুসন্ধান শুরু হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রান্ত থেকে শনিবার ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাবে না। অনেকে আবার প্রত্যাশা করছেন, চাঁদ দেখা যেতে পারে। তবে অনেকে মনে করছেন, চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদি আরব আগামী রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঘোষণা দিতে পারে।
সৌদি আরবের বাৎসরিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শাওয়াল মাসের প্রথম দিন; অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন হচ্ছে ৩০ মার্চ। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, টেলিস্কোপ বা অন্যান্য যেসব উপায়ে চাঁদ দেখা যায়, সেসব উপায়ে শনিবার চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। অনেক মুসলিম দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের প্রত্যাশা করছে। আবার অনেক দেশ আগামী রোববার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার ঈদ উদ্যাপনের ঘোষণা দিতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ