বন্ধুর ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রকে হত্যা
Published: 29th, March 2025 GMT
বাল্যবন্ধুর ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় বাগবিতণ্ডার জেরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছুড়িকাঘাত করে নাইম বাদশা নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সকাল দশটার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাইম বাদশা ওই গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ আহমেদকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের আন্দারুপাড়া গ্রামের হুরমুজ আলী ভুট্টুর ছেলে সবুজ আহমেদ (২০)। তিনি গাজীপুর এলাকায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। নিহত নাইম বাদশা ও সবুজ আহমেদ উভয়ে বাল্যকালে আন্দারুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়গাশোনা করেছে। সম্প্রতি নাইম বাদশা সবুজ আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেয়। এ নিয়ে সবুজ ক্ষোভে নাইমকে হুমকিও দেয়। শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে সবুজ নাইমকে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়ির অদূরে কৃষি ব্যাংক নয়াবিল শাখার পেছনে ভোগাই নদীর কাছে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নাইমের সঙ্গে সবুজের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সবুজ নাইমকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় সঙ্গে থাকা বন্ধুরা চিৎকার করেন ও নাইমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যেই নাইম মারা যায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী সবুজকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত আটক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ সব ক প স ট ছ র ক ঘ ত হত য সব জ আহম দ ন ইমক
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।