পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে, মাথায় মাথা ঠেকিয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন রিনা দত্ত ও কিরণ রাও। তারা দুজনেই আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী। “সতিন মানেই শত্রু”— প্রচলিত এ কথা যেন ঈদুল ফিতরে ভুল প্রমাণ করলেন তারা!
পরিচালক কিরণ রাও তার প্রাক্তন স্বামী আমির খানের পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। তার বেশকিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। যার মধ্যে আমিরের প্রথম প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে একটি সেলফিও রয়েছে। তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যদিও সেখানে আমির খানকে দেখা যায়নি।
একটি ছবিতে আমিরের মা জিনাত হোসেন নীল স্যুট পরে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। এরপর কিরণ রাও, রিনা দত্ত, আমিরের দুই বোন নিখাত, ফারহাতের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন। কিরণ রাও হলুদ রঙের স্যুট পরেন, রিনা দত্ত পরেছিলেন বেগুনি রঙের শারারা ড্রেস। তারা সকলেই হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দেন।
আরো পড়ুন:
কত টাকা আয় করল সালমান-রাশমিকার সিনেমা?
বুলেট প্রুফ গ্লাসের ওপার থেকে দেখা দিলেন সালমান
আরেকটি ছবিতে আমির খান ও কিরণের ছেলে আজাদ রাও খানকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য সবার সঙ্গে টেবিলে বসে থাকতে দেখা যায়। অভিনেতার মেয়ে ইরা খান, তার স্বামী নূপুর শিখরে এবং তার মা প্রীতম শিখরেও আমিরের বাড়িতে আয়োজিত ঈদ উদযাপনে অংশ নেন।
ঈদুল ফিতরের দিন আমির খান তার ছেলে জুনাইদ ও আজাদকে সঙ্গে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগী, সংবাদমাধ্যমকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে বাড়ির বাইরে বের হন। তারা তিনজনই সাদা রঙের কুর্তা পরেছিলেন। ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পর সকলের মাঝে কাজু কাটলি বিতরণ করেন আমির খান।
ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন আমির খান। ১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।
দ্বিতীয় সংসার ভাঙার পর বেশ কিছুদিন সিঙ্গেল জীবনযাপন করার পর গৌরি স্পাট নামে বেঙ্গালুরুর এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আমির খান। কিছুদিন আগে সকলের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়েছেন ‘দঙ্গল’ তারকা। তবে ঈদুল ফিতরের দিনে গৌরিকে সেখানে দেখা যায়নি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন ন আম র খ ন আম র র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।