Risingbd:
2025-08-01@04:47:57 GMT

প্রাক্তনদের নিয়ে আমিরের ঈদ

Published: 1st, April 2025 GMT

প্রাক্তনদের নিয়ে আমিরের ঈদ

পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে, মাথায় মাথা ঠেকিয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন রিনা দত্ত ও কিরণ রাও। তারা দুজনেই আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী। “সতিন মানেই শত্রু”— প্রচলিত এ কথা যেন ঈদুল ফিতরে ভুল প্রমাণ করলেন তারা!

পরিচালক কিরণ রাও তার প্রাক্তন স্বামী আমির খানের পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। তার বেশকিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। যার মধ্যে আমিরের প্রথম প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে একটি সেলফিও রয়েছে। তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যদিও সেখানে আমির খানকে দেখা যায়নি।

একটি ছবিতে আমিরের মা জিনাত হোসেন নীল স্যুট পরে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। এরপর কিরণ রাও, রিনা দত্ত, আমিরের দুই বোন নিখাত, ফারহাতের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন। কিরণ রাও হলুদ রঙের স্যুট পরেন, রিনা দত্ত পরেছিলেন বেগুনি রঙের শারারা ড্রেস। তারা সকলেই হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দেন।

আরো পড়ুন:

কত টাকা আয় করল সালমান-রাশমিকার সিনেমা?

বুলেট প্রুফ গ্লাসের ওপার থেকে দেখা দিলেন সালমান

আরেকটি ছবিতে আমির খান ও কিরণের ছেলে আজাদ রাও খানকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য সবার সঙ্গে টেবিলে বসে থাকতে দেখা যায়। অভিনেতার মেয়ে ইরা খান, তার স্বামী নূপুর শিখরে এবং তার মা প্রীতম শিখরেও আমিরের বাড়িতে আয়োজিত ঈদ উদযাপনে অংশ নেন।

ঈদুল ফিতরের দিন আমির খান তার ছেলে জুনাইদ ও আজাদকে সঙ্গে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগী, সংবাদমাধ্যমকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে বাড়ির বাইরে বের হন। তারা তিনজনই সাদা রঙের কুর্তা পরেছিলেন। ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পর সকলের মাঝে কাজু কাটলি বিতরণ করেন আমির খান।

ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন আমির খান। ১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।

দ্বিতীয় সংসার ভাঙার পর বেশ কিছুদিন সিঙ্গেল জীবনযাপন করার পর গৌরি স্পাট নামে বেঙ্গালুরুর এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আমির খান। কিছুদিন আগে সকলের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়েছেন ‘দঙ্গল’ তারকা। তবে ঈদুল ফিতরের দিনে গৌরিকে সেখানে দেখা যায়নি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন ন আম র খ ন আম র র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ