ঈদের ছুটি না কাটিয়ে কী পেতে চান নিগাররা
Published: 2nd, April 2025 GMT
ঈদের আগের দিন সবার যখন বাড়ি ফেরার তাড়া, তখন নিগার সুলতানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছিলেন অনুশীলনের ছবি। মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি চলছিল। সামনে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ। ওই টুর্নামেন্টের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিগাররা। বাছাইয়ে খেলতে আগামীকাল ৩ এপ্রিল সকালে লাহোরের বিমান ধরবে নারী ক্রিকেট দল।
আরও পড়ুনধোনিকে কেন আইপিএলে দরকার, ব্যাখ্যা দিলেন গেইল২ ঘণ্টা আগেএবারের ঈদটা তাই পরিবারের সঙ্গে কাটেনি নারী ক্রিকেটারদের। কিছুটা হলেও যে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেটা বোঝা গেল আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিগারের কথা শুনে, ‘প্রস্তুতির জন্য এই ঈদের ছুটিতে বাসায় যেতে পারিনি। ঈদের আগের দিনও অনুশীলন করতে হয়েছে।’
গতবারও আমাদের বাছাই পেরিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে। এবারও একই ঘটনা। হয়তো আমাদের সুযোগ ছিল (সরাসরি খেলার), কিন্তু সেটা নিতে পারিনি। তবে বাছাইপর্ব যদি ভালো খেলতে পারি, সবার প্রত্যাশা তো এটাই, যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি।নিগার সুলতানা, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কতবে বিশ্বকাপের গুরুত্বটা জানেন নিগার। সেখানে খেলার সুযোগ পেলে যে সেটা ঈদের আনন্দের চেয়েও বড় কিছু হবে, তা–ও বোঝেন। সে জন্যই তো এটাও বললেন, ‘আমরা সবাই জানি, দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। একটা দল যখন বড় একটা আইসিসি ইভেন্টে খেলে, তখন দলটাকে সবাই ভিন্নভাবে দেখে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারলে আইসিসির কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ মেলে। আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য এটা অনেক বড় ব্যাপার। শেষবার যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলেছি, তারপর কিন্তু আমাদের ম্যাচের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সম্মানের দিক থেকে বলেন, আর্থিকভাবে বলেন, আমরা খেলোয়াড়রা অনেক লাভবান হয়েছি।’
অনুশীলনের এক মুহূর্তে পেসার মারুফার সঙ্গে খুনসুটি নিগারের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ