পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন বলে বুধবার তার চিকিৎসক জানিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্য প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ৬৯ বছর বয়সী আসিফ আলী জারদারিকে মঙ্গলবার নওয়াবশাহ থেকে করাচিতে বিমানে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক ডা.

আসিম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসিফ আলি জারদারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর এটি নিশ্চিত হয়েছে এবং তাকে এখন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, তার স্বাস্থ্যের উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আসিফ আলি জারদারি সোমবার ঈদের নামাজ পড়তে নওয়াবশাহে গিয়েছিলেন এবং তার আগে রবিবার তার দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন।

আসিফ আলি জারদারি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছিল, যদিও সেই সময় তার ‘হালকা লক্ষণ’ ছিল। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, বিমান থেকে নামার সময় তার পায়ের হাড় ভেঙে যায় এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ