সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মোহাম্মদ ফারুক (৪৩)। তিনি বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ ইমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মক্কা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আল লাম লাম (মিকাত) এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রাত দেড়টার দিকে সৌদি আরবে থাকা তার ফুপাতো ভাই দুলাল ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানান। মিকাত এলাকায় দুটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফারুক মারা যান। সাত বছর আগে ফারুক সৌদি আরবে যান। সেখানে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। 

সৌদি আরবে থাকা ফারুকের আত্মীয় মো.

শাহ আলম শাহপরান জানান, ফারুক রাতে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ইউটার্ন নেওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। ফারুকের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তার স্ত্রী ও দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার সমকালকে বলেন, ফারুকের মরদেহ দেশে আনতে ও পরিবারকে সহযোগিতায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনও সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ