২০ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন নাসির হোসেন। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ দিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নাসির। আবুধাবি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে আইফোন ‘উপহার’ পাওয়ার তথ্য গোপন করায় ২০২৩ সালে আইসিসি তাঁকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
দুই বছরের আগেই ‘মুক্তি’ পেয়ে ফিরেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তাঁর ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে আজ একটি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে লিখেছে, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আইসিসির দেওয়া সব শর্তই পূরণ করেছেন নাসির হোসেন। এর মধ্যে ছিল বাধ্যতামূলক দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। এ কারণেই ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকেই ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন।’
মাঠে ফিরে প্রথম দিনেই তাঁর দল রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করেছেন নাসির। ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। এরপর ঘরোয়া লিগে খেললেও মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের ঘটনাতেই বেশি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ