যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে দেশের ব্যবসায়ীরা চিন্তিত বলে উল্লেখ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকার ঠিক পথেই এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি দর-কষাকষি করতে হবে, নিছক চিঠিপত্র আদান–প্রদান করে হবে না।

রাজধানীর বনানীতে আজ সোমবার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি সরকারকে এ বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করার আহ্বান জানান। লক্ষ্য, দর-কষাকষির বিষয়টি যথাযথভাবে এগিয়ে নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, পর্ষদ সদস্য কামরান টি রহমান, আবদুল হাই সরকার, ফজলুল হক, সিমিন হোসেন, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।

২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের পণ্যেও ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী করা যায়, তা নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সচেষ্ট হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে (মঙ্গলবারের বিকেলের মধ্যে) যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি দেবে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একটি চিঠি দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরেকটি চিঠি দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর ইউএসটিআরকে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ