প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের
Published: 7th, April 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশটি এখন ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করবে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন আজ সোমবার বলেন, ‘আমাদের শক্তি বাড়ানোর সময় এসেছে। ১০ বছরের মধ্যে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দ্বিগুণের বেশি করা হবে।’ দেশটি বর্তমানে জিডিপির এক শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে।
লুক্সনের তথ্যমতে, তাঁর দেশ প্রতিরক্ষা খাতে এখন থেকে বছরে ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে এবং প্রধান আঞ্চলিক মিত্র অস্ট্রেলিয়ার সামরিক কাজের দিকে গভীর চোখ রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী লুক্সন বলেন, ‘বৈশ্বিক উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে। আর বিশ্বমঞ্চে নিউজিল্যান্ডের কদর বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বর্তমান সামরিক ব্যয় বেশ কম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আঘাত করার সক্ষমতা বাড়ানো, দূরপাল্লার ড্রোন, সাইবার নিরাপত্তা ও সীমান্ত নজরদারি আমাদের অগ্রাধিকার।’
নিউজিল্যান্ড পাঁচটি দেশের গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ফাইভ আইস’–এর সদস্য। জোটটির বাকি দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।
পশ্চিমাদের মিত্র হওয়া সত্ত্বেও চীনের প্রতি নরম হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সমালোচনা ছিল। ফাইভ আইসের সমালোচনা ছিল, ওয়েলিংটন মিত্রদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ