কোরিয়ার ষাটের দশকের দুই তরুণ-তরুণীর জীবনের গল্পকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা কিম উন-সিয়ক। গল্পের পরতে পরতে স্মৃতিকাতরতা। হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিনস দেখে দর্শক কখনো কেঁদেছেন, কখনো হেসেছেন। গত ৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ১৬ পর্বের এই সিরিজ। এ সপ্তাহে নেটফ্লিক্সের অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এটি।

বাংলাদেশের দর্শকও সিরিজটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ‘কোরিয়ান মুভি অ্যান্ড ড্রামা লাভার বিডি’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে সিরিজটি নিয়ে আলোচনা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন পর কোনো কোরীয় সিরিজ নিয়ে এতটা ইতিবাচক আলোচনা দেখছেন তাঁরা। সিরাজুম মনিরা নামের এক দর্শক লিখেছেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের বা আশপাশের মানুষদের সাধারণ জীবনযাপন খুঁজে পাবেন। কখনো হাসবেন, কখনো কাঁদবেন।’

সিরিজে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইইউ ও পার্ক বো-গাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ