না’গঞ্জবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছে পূজা পরিষদ
Published: 20th, October 2025 GMT
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা মায়ের পূজা বা দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি শংকর কুমার দে এবং সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করা হয়, "শ্রী শ্রী শ্যামা মায়ের পূজা ২০২৫ ইং" বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের পক্ষ থেকে সবাইকে শ্যামা পূজার শুভেচ্ছা। শুভ দীপাবলীর মঙ্গলঘট ও প্রতিমা দর্শন।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রীশ্রী শ্যামা মায়ের পূজা। হেমন্তের আগমনে শিশির সিক্ত সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে শুভ দীপাবলীর মঙ্গল প্রদীপ। অমাবস্যার নিশীথে অপরুপ সাজে সাজবে শহর -নগর-গ্রাম সর্বত্র। মনে করিয়ে দেয় শ্রীশ্রী শ্যামা মায়ের আগমনী বার্তা।
মা মঙ্গলরুপী ধরনীতে শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন এবং ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। এই বিশ্বাস সনাতনীরা লালন করেন যুগযুগ ধরে। আমরা সকলেই প্রার্থনা করি মা সবার মঙ্গল করুক।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ প বল
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্নের আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যের পরিচয়
অগ্রহায়ণ মাস বাঙালির গ্রামীণ জীবনে নিয়ে আসে উৎসব ও আনন্দের বিশেষ আবেশ। নতুন ধান ঘরে তোলার পর সেই চালের প্রথম ভাত, পিঠাপুলির ঘ্রাণ আর মিলেমিশে খাওয়ার সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে নবান্ন উৎসব বাঙালির কৃষিভিত্তিক সমাজ ও সংস্কৃতির এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। তবে আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা ও যান্ত্রিকতায় এ উৎসব অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবু শিকড়ের টান ধরে রাখতে ও তরুণ প্রজন্মকে বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে নবান্ন উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পদাতিক’ এ আয়োজন করে আসছে।
এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব ‘নব ছন্দে নবান্ন’। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিক্ষার্থীরা, গানবাজনার সুর, পিঠার সৌরভ আর গ্রামীণ মোটিফে সাজানো স্টল মিলিয়ে তৈরি হয় চিরায়ত গ্রামীণ উৎসবের উষ্ণ আবহ।
সন্ধ্যায় পদাতিক সদস্যদের পরিবেশনায় পঞ্চকবির গান দিয়ে উৎসবের উদ্বোধনী হয়। এরপর একে একে পরিবেশিত হতে থাকে কোরাস গান, একক সংগীত, নাচ, কবিতা আবৃত্তি ও নাট্যাংশ। গভীর রাত পর্যন্ত চলে আয়োজনের বিভিন্ন পরিবেশনা। আজ শুক্রবারও চলবে এ উৎসব।
সংগঠনটির উদ্যোগে মুক্তমঞ্চের সামনে সাজানো হয় পিঠা, ঐতিহ্যবাহী খাবার, হাতে তৈরি সামগ্রী ও গ্রামীণ জীবনধারাকে উপস্থাপন করা ১৪টি স্টল। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, দুধ–চিড়াসহ নানা ধরনের শীতের পিঠায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি চুড়ি ও বাহারি রঙের গয়না।
উৎসবের প্রথম দিনে সন্ধ্যায় পদাতিক সদস্যদের পঞ্চকবির গানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানমালার। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় কোরাস সংগীত, একক সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাট্যাংশ। শিক্ষার্থীদের শৈশবের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিতে মেলায় যুক্ত করা হয় নাগরদোলা ও শিশুদের ট্রেন। এসব আয়োজন শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থীদের মধ্যেও বাড়তি উৎসাহ তৈরি করে।
মেলায় আসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘সারা বছর ক্লাস, পরীক্ষার চাপের মধ্যে এমন গ্রামীণ উৎসব আমাদের মানসিক স্বস্তি ও ভিন্ন রকম আনন্দের উপলক্ষ। তাই সারা বছর আমরা এ উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চকবির গানের মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন হয়