গরমে চুল ঝরা কমাতে উপকারী ঘরোয়া ৩ মাস্ক
Published: 12th, April 2025 GMT
গরমে শরীরের পাশাপাশি মাথার ত্বকও ঘামে। এর ফলে চুল ঝরা বাড়ে। গরমে ঘেমে আর্দ্রতা হারিয়ে চুল নির্জীব হয়ে পড়ে। মাথার ত্বকের ঘর্মাক্ত ভাব কমাতে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন। ঘন ঘন শ্যাম্পু করার চেয়ে এই সময়ে চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া কিছু মাস্কের উপর ভরসা করতে পারেন। এতে চুল থাকবে প্রাণবন্ত, ঝরঝরে।
দই, মধু, ডিমের মাস্ক
দই কন্ডিশনার হিসাবে খুবই কার্যকরী। ডিম চুলের ফলিকল শক্ত করতে ভূমিকা রাখে। রুক্ষ চুল মসৃণ করতে মধুর জুড়ি নেই। গরমে চুল ভালো রাখতে একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে ৬ চামচ টক দই এবং ২ চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ঝরা কমবে।
কলা, অ্যাভোকাডো মাস্ক
রুক্ষ চুল মসৃণ করতে কলা, অ্যাভোকাডো মাস্কের তুলনা নেই। দুটি পাকা কলার সঙ্গে অর্ধেকটা পাকা অ্যাভোকাডো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত এবং শক্তিশালী হবে।
ডিম,ক্যাস্টর অয়েল, মধু
একটা ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু,এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চুলে মেখে শাওয়ার ক্যাপ পরে মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। অ্যাপল সিডার ভিনেগার দিয়ে কন্ডিশনিং করুন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল ঝরা কমবে, চুল মসৃণও হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত